যে কারণে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা একটি স্ক্যাম ।
বাংলাদেশ একটি ব্যার্থ রাষ্ট্র। যুগে যুগে এদেশে অনেক সরকার এসেছে গিয়েছে কিন্তু প্রত্যেক সরকার দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা প্রদানে ব্যার্থ হয়েছে।
শিক্ষা ব্যাবস্থার মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদেরকে জ্ঞান দেওয়া। বাংলাদেশের "শিক্ষা" ব্যাবস্থায় জ্ঞান অর্জনের লেশ মাত্র নেই। এই ব্যার্থ রাষ্ট্রের বেশিরভাগ স্কুলের কথিত শিক্ষকেরা শিশুদেরকে আদব কায়দা পর্যন্ত সেখাতে পারে না, অন্যের শিশুকে তারা তুই বলেও সম্বোধন করে থাকে। সেখানে শুধু করানো হয় মুখস্ত, শিক্ষার্থীরা সাময়িক সময়ের জন্য বিভিন্ন বিষয় মুখস্ত করে পরিক্ষার খাতায় লিখে সবকিছু ভুলে যায়। সেখানে হাতে কলমে কোনও বিষয়বস্তু শেখানো হয় না কারণ যেসব শিক্ষকদের শেখানোর কথা তারা নিজেই জানে না তারা কি শেখাচ্ছে। জার্মানির মতো পশ্চিমা দেশের বিদ্যালয়গুলো শিশুদেরকে শিক্ষা সফরের জন্য নিয়ে যায় বিভিন্ন দেশে । সেখানকার বিদ্যালয়ে ছাত্র, ছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য কাউন্সিলিংয়ের ব্যাবস্থা, খেলাধুলা, বাধ্যতামূলক সাতার শেখানো, high ropes কোর্স ইত্যাদি হয়ে থাকে আর বাংলাদেশের চোদু জনতা মনে করে বিদ্যালয় শুধু মুখস্ত করার যায়গা। আবার আজকাল বাংলাদেশের কিছু পুচকে বাচ্চারা ইংলিশ মিডিয়াম বিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করে এবং সেটাকে আসল শিক্ষা ব্যাবস্থা মনে করে। কিন্তু ওদের বোঝা উচিৎ যে বাংলাদেশের ভুয়া শিক্ষা ব্যাবস্থার ওপর ইংলিশের প্রলেপ মারলেই সেটা আসল শিক্ষা ব্যাবস্থা হয়ে যায় না।
আমরা জানলাম বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থায় কোনও শিক্ষা পাওয়া যায় না। তাহলে এই কথিত শিক্ষা ব্যাবস্থা কেন সবাই এখনও গ্রহণ করে? বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা কাজ করে এম এল এম স্ক্যামের মতো। আপনারা বাংলাদেশের রাস্তায় দু মিটার হাটলেই খাম্বা অথবা দেওয়ালে উদ্ভাস, রেটিনা সহ নানারকম কোচিং সেন্টারের পোস্টার, সাইনবোর্ড দেখতে পাবেন। এদের বেনিফিটের জন্যই বাংলাদেশের ভুয়া শিক্ষা ব্যাবস্থা আজও ফাংশনাল আছে। এসব কোচিং সেন্টারগুলো মেডিকেল অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, চুয়েট, কুয়েট সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন কতিপয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ভর্তি করিয়ে নেয় লাখ লাখ তরুণ কিশোরদের আর চান্স পায় এক শতাংশের কম শিক্ষার্থী । যখন বাংলাদেশের কোনও বাপ দেখে তার প্রতিবেশী বা আত্মীয় তার সন্তানকে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ঢোকানোর জন্য ওসব কোচিং সেন্টারে পড়াচ্ছে তখন সে বাপ তার নিজের সন্তানকেও ওসব কোচিং সেন্টারে ভর্তি করে দেয়। আবার তাকে দেখে আরেকজন তার সন্তানকে ভর্তি করিয়ে দেয় ওসব কোচিংয়ে, আর এভাবে পঞ্জি স্কিমের পিরামিড বড় হতে থাকে।
শিশু, কিশোর বয়স মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। এ সময়ে মানুষের কৌতুহল বেশি থাকে, নতুন বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের আদর্শ সময় একটি। কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা নামক এই স্ক্যামের কারণে বাংলাদেশ আজও মেধাশূন্য হয়ে আছে। বাংলাদেশে একটি পারমাণবিক চুল্লি বানানো হচ্ছে যেখানকার প্রত্যেকটি ইঞ্জিনিয়ার রাশিয়ার নাগরিক । আবার পদ্মাসেতুও বিদেশী ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে বানানো হয়েছিল। কারণ বাংলাদেশের বুয়েট, চুয়েট, কুয়েট, ঢাবি, রাবি থেকে গ্র্যাজুয়েশন করা লোকেদের বাল ছেড়ার ক্ষমতা নেই। এমনকি বাংলাদেশের ডাক্তাররাও ভালোভাবে রোগীকে চিকিৎসা দিতে পারেনা বলে সরকার এবং মন্ত্রীরা পশ্চিমা দেশে চিকিৎসা নিতে আসে।
বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থা একটি টাইম বোমার মতো। ধর্মীয় উগ্রতা, বাক প্রকাশে বাধা, দারিদ্রতা, অলসতা, বাল্যবিবাহ সহ বাংলাদেশে শত শত সমস্যা রয়েছে এবং বাংলাদেশের কথিত শিক্ষা ব্যাবস্থা এসব সমস্যা সমাধানে কোন ভূমিকা রাখছে না। অনেক পিতামাতা তাদের সন্তানকে এখন ট্রেডিশনাল শিক্ষা ব্যাবস্থা থেকে বের করিয়ে এনে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিয়ে দেশকে আফগানিস্তান হওয়ার পথে ঠেলে দিচ্ছে।