দশ লক্ষ আমজনতাকে অ্যান্টার্কটিকায় নিয়ে গিয়ে "নিউ বাংলাদেশ" নামক দুর্নীতিমুক্ত স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা ।

দশ লক্ষ আমজনতাকে অ্যান্টার্কটিকায় নিয়ে গিয়ে "নিউ বাংলাদেশ" নামক দুর্নীতিমুক্ত স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা ।
ছবি: অ্যান্টার্কটিকার এই প্রতিকূল আবহাওয়াও এখন বাংলাদেশের দুর্নীতি বাটপারির তুলনায় সহনীয়।

বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র, এই দেশটি তার ধংস্বের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে। দুর্নীতি, বাটপারি, চুরি, চামারি, টেন্ডারবাজি, নিম্নমানের সংস্কৃতিসহ এই দেশটির যত সমস্যা আছে সেটার লিস্ট বানালে সেটি দিয়ে পৃথিবীকে পঞ্চাশবার পেঁচানো সম্ভব। দেশের রাস্তার আঁকেবাঁকে আজকাল যুবা বয়েসী ছেলেরা দাঁড়িয়ে থাকে চান্দা নেওয়ার জন্য। শুনেছি দেশের নেতাহাতারাও পয়সাওয়ালাদেরকে চান্দার বিনিময়ে ধান্দা দিয়ে থাকে। দেশের সমস্যা দিনদিন বাড়ছেই, কমছে না। এদেশের রাস্তাঘাট পার হওয়াও প্রায় অসম্ভব। টাকার বিনিময়ে রাস্তা পার করিয়ে দেওয়ার জন্য কিছু লোক মই নিয়েও দাঁড়িয়ে থাকে আজকাল। দেশের এই দুর্নীতি, অনিয়ম দিনদিন অসহনীয় হয়ে উঠছে। দেশের এই প্রতিকূল পরিবেশে প্রকৃত প্রতিভাবান লোকেরাও তাদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারছে না। এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি দশ লক্ষ আমজনতাকে অ্যান্টার্কটিকায় নিয়ে গিয়ে স্বাধীন সর্বভৌম দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র নিউ বাংলাদেশ বা নয়া বাংলাদেশ গঠন করব। কারণ অ্যান্টার্কটিকার প্রতিকূল আবহাওয়াও এখন বাংলাদেশের দুর্নীতি বাটপারির তুলনায় সহনীয়।

দশ লক্ষ আমজনতাকে কিভাবে অ্যান্টার্কটিকায় নিয়ে যাওয়া হবে ?

বিশাল জাহাজ বানিয়ে বাংলার আমজনতাকে দিয়ে বোঝাই করে অ্যান্টার্কটিকার দিকে রওনা দেওয়া হবে। তবে সেখানে যাকে তাকে নেওয়া যাবে না। বিশেষ করে চুরি, চামারি, চাঁদাবাজি করতে ইচ্ছুক এমন মেন্টালিটির লোকেদেরকে নেওয়া হবে না এবং ইহা ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে যাচাই করে তারপর জাহাজে তোলা হবে। তবে সেখানে গিয়ে যদি কোনো ব্যক্তি দেশি লোকের মতো কাজ করে, অর্থাৎ চুরি, চামারি কিংবা মানুষকে চান্দার বিনিময়ে ধান্দা দিয়ে থাকে, তাহলে তার হোগায় বাঁশ ঢুকিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

বাংলার চোদু জনতাকে নিয়ে পুনরায় দেশ গঠনের ফলাফল কি একই হতে পারেনা ?

আমরা জানি বাংলাদেশের এই অবস্থার জন্য বাংলার চোদু জনতাই দায়ী। চুরি চামারিতে অলিম্পিকের চ্যাম্পিয়ন এই জাতি। মুজিব নিজেও এ দেশকে স্বাধীন করার পর ভুল বুঝতে পেরে নিজের দেশকে 'চোরের খনি' বলেছিল। তবে মাইনাস বিয়াল্লিশ ডিগ্রী তাপমাত্রার শীতল পরিবেশে চোদু জনতার অলসটা এবং বাটপারির মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের মানসিকতা ছুটে যাবে। এছাড়াও সেখানে পৃথিবীর অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষদেরও আশ্রয় দেওয়া হবে, ফলে সেখানে শুধু চোদু জনতাই থাকবে না। আর সেখানে থাকবে বুলেট ট্রেন।  মাটির তলদেশ দিয়ে আধাঘন্টার মধ্যেই অ্যান্টার্কটিকার এক প্রান্ত থেকে ওপর প্রান্তে যেতে পারবে আমজনতা। পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত জাতি হবে নয়া বাংলাদেশ। পুরাতন বাংলাদেশের সাথে কোনোরকম সম্পর্ক থাকবে না। ল্যাটিন অক্ষরে বাংলা লেখা বাধ্যতামূলক করা হবে সেখানে। দক্ষিণ এশীয় নোংরা সংস্কৃতি ত্যাগ করতে হবে আমজনতাকে। অ্যান্টার্কটিকার সমস্ত ইউরেনিয়াম চুষে নিয়ে তৈরী করা হবে পারমাণবিক বোমা এবং চুল্লি।

দৈনিক বঙ্গবল্টুর লেটেস্ট আপডেট পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলটি ফলো মারুন!

@Bongoboltu