বাংলাদেশ, ভারতের সংস্কৃতিতে পুরুষত্বের এতো অভাব কেন?
কিছুদিন আগে আমরা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি যেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এবং ভারতের এই নিম্নমানের সংস্কৃতিতে চাটুকারিতা, নির্লজ্জতা, পুরুষত্বহীনতা, আত্মসম্মানের অভাব সহ যত সমস্যা আছে তার লিস্ট বানালে সেই লিস্ট দিয়ে পৃথিবীকে ৫০ বার পেচানো সম্ভব। অর্থাৎ এই সংস্কৃতির প্রত্যেকটি সমস্যা এই প্রতিবেদনে তুলে ধরার চেয়ে মঙ্গলগ্রহে পাক মেরে আসা সহজ। তবে আমরা এই সংস্কৃতির সবচেয়ে খারাপ এবং ঘৃণ্য দিক, পুরুষত্বহীনতার বিষয়টি তুলে ধরবো, যার জন্য এই ভারতীয় উপমহাদেশ আজও পিছিয়ে আছে।
বাংলাদেশী এবং ভারতীয় পুরুষদের মতো মেয়ালু স্বভাবের পুরুষ আর কোথাও দেখিনি। এখানকার পূরুষরা নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারে না। কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজের আগে দশজনকে জিজ্ঞেস করে কাজটা করবে কিনা। পশ্চিমা নারীদের পুরুষত্বও এদের থেকে বেশি। সাহস, মনোবল, আত্মসম্মানের ছিটেফোটা দক্ষিণ এশীয় পূরুষদের মধ্যে নেই। বাংলাদেশের পুরুষরা নারীর ওপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল থাকতেও লজ্জা পায় না। যৌতুক নামক এই নির্লজ্জ প্রথার নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন। যেখানে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য জামাইকে টাকা, হোন্ডা, বাইক ইত্যাদি 'উপহার' দিতে হয়। না দিতে পারলে জামায়ের পরিবার কর্তৃক মেয়েকে নির্যাতন করা হয়। অনেক সময় এমনও হয় যে জামাই যৌতুক চায় না কিন্তু তার পরিবারের চাপে তাকে চাইতে হয়। নিজের বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করার মতো পুরুষত্বও এদের নেই! এছাড়াও বাংলাদেশের রাস্তাঘাটে 'তৃতীয় লিঙ্গ' অর্থাৎ হিজরাদের অনেক উপদ্রব বেড়েছে। নারীদের বেশধারী হিজরা নামক এসব নির্লজ্জ পূরুষরা পথচারীকে থামিয়ে গলা জড়িয়ে ধরে বলে টাকা দাও! বাংলাদেশ একটি ইনটলারেন্ট দেশ, অর্থাৎ রাস্তাঘাটে যদি কেউ খাবার চুরি করতে গিয়ে ধরা পরে, কিংবা ফেসবুকে মহানবীকে অপমানের মাধ্যমে ধর্মীয় নুনুভূতিতে আঘাত হানে তাহলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। কিন্তু হিজরা নামক এসব নির্লজ্জ পুরুষরা প্রকাশ্যে ছিনতাই করলেও তাদেরকে দেওয়া হয় অধিকার! অনেক হিজরাকে নাকি বাংলাদেশে আজকাল ভোটও দিচ্ছে চোদু জনতা। হিজরাদের মতো বেধর্মী লোকেদেরকে বাংলাদেশের ধার্মিক লোকেরা স্বীকৃতি দিচ্ছে কারণ বাংলাদেশের সাধারন লোকেরাও হিজরা হতে চায় এজন্য। ফেসবুক নামক একটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছিলাম প্রচুর বাংলাদেশী 'নারী' আমাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাচ্ছে। লক্ষ করে দেখলাম, তাদের একই ছবি দিয়ে বানানো ভিন্ন নামের অনেক একাউন্ট রয়েছে। প্রত্যেকের বন্ধুর সংখ্যা হাজার হাজার। তখন বুঝলাম এগুলো কোনও আসল মহিলা নয়, বরং এরা অনলাইন হিজরা। এসব পূরুষদের বাস্তবে নারীদের পোষাক পরিধান করে রাস্তায় হিজরাগিরি করার ক্ষমতা নেই এজন্য ফেসবুকে অন্য কোনও নারীর ছবি দিয়ে হিজরাগিরি করছে। এসবের জন্যই ২০১২ সালে ফেসবুক ত্যাগ করেছিলাম।
কিন্তু বাংলাদেশ, ভারতের পুরুষরা মেয়ালু স্বভাবের হওয়ার কারণ কি?
বাংলাদেশের সমাজে ছেলে মেয়েদেরকে আলাদা রাখা হয়। স্কুল কলেজে ছেলেমেয়েরা পাশাপাশি বসতে পর্যন্ত পারেনা। ছেলেরা মেয়েদের সাথে জীবনে কোনদিন ভালোভাবে মেলামেশা করারও সুযোগ পায়না। আর বিয়ের আগে যৌনমিলন তো দূরের কথা। কিশোর এবং যুবা বয়সের পুরুষদের জীবনে যখন নারীর অভাব দেখা দেয় তখন তারা নিজের দেহকেই নারী দেহ কল্পনা করে হস্তমৈথুন করে, এবং একপর্যায়ে ইহা চরম পর্যায়ে পৌছে গেলে এসব পুরুষ হিজরায় পরিনত হয়। অনেকে প্রকাশ্যে হিজরাগিরি করে, অনেকে অনলাইনে হিজরাগিরি করে, আবার অনেকে হস্তমৈথুনের সময় নিজ দেহকে নারী দেহ কল্পনার মাধ্যমে গোপনে হিজরাগিরি করে।