অসভ্য দক্ষিণ এশীয় সমাজ এবং চোদু জনতার সব প্রশ্নের উত্তর।

অসভ্য দক্ষিণ এশীয় সমাজ এবং চোদু জনতার সব প্রশ্নের উত্তর।

গত মাসে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নামক দেশের তথাকথিত এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টোকাই তোফাজ্জল হত্যা হওয়ার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলাম।  সেখানে আমরা তুলে ধরেছি যে কিভাবে চোদু জনতা টোকাই তোফাজ্জলের চেয়ে হারমোনিয়াম বাজানো সুশীল পরিবারে জন্মগ্রহণ করা আবরার ফাহাদের প্রতি বেশি সহানুভূতি দেখাচ্ছে। সেখানে আমরা আলোচনা করেছি কিভাবে এই বুয়েটে পড়া ছাত্ররা পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে ঢুকে চুরি চামারি করে অর্থ উপার্জন করে, সে হিসেবে আবরার ফাহাদের তুলনায় টোকাই তোফাজ্জলের মতো পলিথিন কুড়িয়ে অর্থ উপার্জন করা লোকদেরই সমাজে কনট্রিবিউশন বেশি। আমরা তুলে ধরেছি কিভাবে দেশের মেয়েদের বাপেরা বুয়েটে পড়া ছেলেদের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য লাইন ধরে থাকে। যেন ছেলে সরকারি চাকরি পাওয়ার পর চুরি চামারি করে মেয়েকে খাওয়াতে পারে। একপর্যায়ে আমরা এও তুলে ধরেছি যে কিভাবে দক্ষিণ এশীয় নোংরা সংস্কৃতির এই অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ প্রথা এক প্রকারের পতিতাবৃত্তি এবং ইহা সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক নিয়মের বাহিরে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের প্রতিবেদন ভাইরাল হলেও অনেক চোদু জনতা প্রতিবেদনের লেখককেই ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছে। প্রতিবেদনের লেখক নাকি ব্যক্তিগত ক্ষোভের কারণে এসব লিখেছে। বুয়েটের অনেক ছাত্রও কমেন্ট সেকশনে গালাগালি করেছে। তর্কে না পেরে এই অসভ্য সমাজ যে প্রতিপক্ষকেই ব্যক্তিগত আক্রমণ করবে সেটা আগেই জানা ছিল। তবে এই প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশীয় সমাজের নোংরা সংস্কৃতি নিয়ে আরও গভীরভাবে আলোচনা করে আমরা তাদের সমস্ত প্রশ্নের জবাব দেবো।

যে কারণে শুধু এই দেশেই হিজড়া সম্প্রদায় বা 'তৃতীয় লিঙ্গ' আবির্ভুত হয়েছিল

বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশীয় সমাজে ছেলে মেয়েদেরকে ছোট থেকেই আলাদা রাখা হয়। ছেলেরা মেয়েদের সাথে কৈশোর এবং যৌবনকালের বেশিরভাগ সময়ই মেলামেশা করার সুযোগ পায়না কারণ সমাজ তাদের মধ্যে ব্যাপক দূরত্ব তৈরী করে দিয়েছে। ফলে এসব ছেলেরা বড় হয়ে একপ্রকারের আধা পুরুষে পরিণত হয়, এবং মেয়েদের দেখলে তাদের লজ্জা লাগে। কারণ তার কাছে মেয়েরা এখন মানুষ নয়, বরং সেক্স অবজেক্ট বা চোদাচুদি করার জিনিস। যখন কোনও দক্ষিণ এশীয় ছেলে কোনও মেয়েকে দেখে লজ্জা পায়, তখন সে কল্পনা করে সে কিভাবে সেই মেয়েকে চুদছে। এসব তাদের চিন্তায় আসে বলেই তারা লজ্জা পায়। মানুষ মানুষকে দেখে বিনা কারণে লজ্জা পেতে পারেনা! এই লজ্জার জন্য দক্ষিণ এশীয় সমাজে দুই লিঙ্গের মানুষের মধ্যে দূরত্ব আরও বৃদ্ধি পায়। এই সমাজে বড় হওয়া লোকেরা ছোটদেরকেও এই দূরত্ব বজায় রাখতে উৎসাহিত কিংবা বাধ্য করে। এই দূরত্বের কারণেই এদেশে ৪০০০ বছর আগে হিজড়া সম্প্রদায় আবির্ভুত হয়েছিল। দেশের অনেক যুবা বয়েসী পুরুষরা মেয়েদের সাথে মেলামেশা এবং যৌনমিলনের সুযোগের অভাবের কারণে এরা তাদের নিজ দেহকেই নারী দেহ কল্পনা করতে শুরু করে এবং হিজড়ায় পরিণত হয়। এধরণের বৈশিষ্ট আমেরিকার পুরুষ কারাগারেও নারীর অভাবের কারণে দেখা যায়। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে 'autogynephilia' । আজ ভারতীয় উপমহাদেশে হিজড়াদের সংখ্যা নরওয়ের মতো পশ্চিমা সভ্য সমাজের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি! আজ পশ্চিমা সভ্য সমাজে জনসংখ্যা কমছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ, ভারতের মতো লুচ্চোদের দেশে বেড়েই চলেছে হিজড়াদের সংখ্যা!

বলা বাহুল্য যে, এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগে দেশে নতুন ধরণের হিজড়ার প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। ২০১২ সালে ফেসবুকে দেখেছিলাম প্রচুর বাংলাদেশী 'নারীর' ফেক একাউন্ট আমাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাচ্ছে। প্রত্যেকের ফ্রেন্ডলিস্টে হাজার হাজার বন্ধু।  প্রথমে এদেরকে আসল একাউন্টই ভেবেছিলাম, কিন্তু একদিন রাস্তায় হাঁটার সময় দেখলাম কিছু স্কুলের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে 'প্রাইভেট' পড়তে যাওয়া কিশোর গল্প করতে করতে বলছে তাদের অনেক নারীর ছবি দিয়ে বানানো ফেক একাউন্ট আছে। তাদের মুখে কোনও লজ্জাশরমেরও ছাপ নেই। এসব অনলাইন হিজড়াগিরি করতে এদের শরমও লাগেনা, কারণ যেহেতু তাদের সংস্কৃতিতে মেয়েলোকের সাথে কথা বলা সম্ভব নয়, তাই তারা নিজেরাই মেয়েলোক হয়ে যাচ্ছে। এদের কথা শুনেই আমি ঘেন্না করে ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছিলাম। দেশের রাস্তায় বের হলে হিজড়ারা গলা জড়িয়ে ধরে বলে টাকা দাও, আবার এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সেই একই অবস্থা।

অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ এবং পতিতাবৃত্তি

এককোষী প্রাণী থেকে শুরু করে বহুকোষী তিমি মাছ এবং যেকোনোও সভ্য সমাজের মানুষ চোদাচুদির জন্য বিপরীত লিঙ্গের মানুষকে নিজেরাই বেছে নেয়।  তাদের বাপ, মা, পরিবার কিংবা ঘটক বাছাই করে দেয়না। কারণ এটাই প্রাকৃতিক নিয়ম। কিন্তু দক্ষিণ এশীয় সমাজে মহিলা-পুরুষদের মধ্যে ব্যাপক দূরত্ব থাকার কারণে এদেশের যুবকেরা মেয়েদের সাথে কথা বলতে গেলেই ঘাবড়ে যায়। এদেশের লুচ্চো সমাজ এদের পুরুষত্ব কেড়ে নিয়েছে। মহিলাদের সাথে কথা বলার মতো ব্যাসিক কাজের ক্ষমতা এদের নেই। তাদের সাথে বন্ধুত্ব কিংবা রোমান্টিক রিলেশনশিপ এবং চোদাচুদি তো দূরের কথা। কিছু পুরুষ প্রাকৃতিক নিয়ম অনুযায়ী এসব করলেও সমাজ তাদেরকে করেছে প্রত্যাখ্যান। ছোটলোকের ছেলে বড়োলোকের মেয়েকে চোদার কাহিনী নিয়ে তৈরী হয়েছে শত শত বলিউডের পেয়ার মুহব্বতের সিনেমা। এসব সিনেমা দেখে প্রেমে ছ্যাকা খেয়ে আমাদের দেশের অনেক যুবক মেয়েদের মুখে এসিডও মেরেছে এককালে।

তবে এদেশের অধিকাংশ পুরুষেরা বিবাহের জন্য তাদের পিতামাতার উপর নির্ভরশীল। ছেলে যদি বুয়েট ছাত্র, ডক্টর, কিংবা পঁয়সাওয়ালা লোক হয়ে থাকে, তাহলে তাদের মিলবে ভালো সুরতের পাত্রী। অন্যদিকে ছেলের ক্যারিয়ার কিংবা পয়সা যদি না থাকে, তাহলে তার মিলবে বেঢপ সুরতের পাত্রী। এই বস্তুতান্ত্রিক চাহিদাকে প্রাধান্য দেওয়া সিস্টেম এবং পতিতাবৃত্তির মধ্যে যে আদৌ কোনও পার্থক্য নেই সেটা চোদু জনতা তাদের ছাগলের মস্তিষ্ক দিয়ে না বুঝতে পারলেও সভ্য সমাজের যেকোনো শিশুও ইহা বুঝতে পারে। অর্থাৎ পতিতাবৃত্তির সংজ্ঞা অনুযায়ী এদেশের নব্বই শতাংশ নারীই প্রস্টিটিউট। পতিতারা যেভাবে পয়সার বিনিময়ে অচেনা লোকের সাথে চোদাচুদি করে, এখানেও সেটাই ঘটছে।

পশ্চিমা সংস্কৃতির বিষয়ে চোদু জনতার ধারণা

পশ্চিমা সংস্কৃতি বাংলাদেশ-ভারতের তথাকথিত ধর্মীয় গোষ্ঠী খারাপ নজরে দেখে এবং কিছু লুচ্চো যুব সমাজ ইহা সমর্থন করে। ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং যুব সমাজ, উভয়েরই ধারণা পশ্চিমা সংস্কৃতি মানেই লুচ্চামি, ছোট পোশাক ইত্যাদি। তাদের ধারণামতে পশ্চিমা সংস্কৃতিতে এসবের বাহিরে কিছুই নেই। দেশের যেসব যুব সমাজ লুচ্চোমি সমর্থন করে তারা পশ্চিমা সংস্কৃতিও সমর্থন করে, অন্যদিকে ধর্মীয় গোষ্ঠী এটাকে এড়িয়ে চলে। তবে আমার মতে এই দুই গ্রূপের লোকেরাই লুচ্চো। কারণ লুচ্চোমি বাদে পশ্চিমা সংস্কৃতির কোনও ভালো দিক এদের নজরে আসেনা। পশ্চিমা সংস্কৃতিতে কিছু বেধর্মী জিনিস যুক্ত হয়েছে গত দুই দশকে, তবে সেখানকার বেশিরভাগ লোকই ট্রেডিশনাল সংস্কৃতি মেনে চলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের মানসিকতায় আমি কখনও লুচ্চোমি দেখিনা। কিন্তু বাংলার চোদু জনতা পশ্চিমা সভ্য সমাজের দেশগুলোকে মনে করে লুচ্চোমির স্বর্গরাজ্য। বলা বাহুল্য যে ওরা নিজেরাই লুচ্চোমির স্বর্গরাজ্যে বাস করছে। আমি চোদু জনতার দেশের অনেক রেস্টুরেন্টে গিয়েছি, দেখেছি যে রেস্টুরেন্টের একপাশে অনেকগুলো মুরগির খোপের মতো অংশ, এবং পর্দা টাঙিয়ে দেওয়া। এক যুবা বয়েসী ব্যক্তি আমাকে বললো, ওগুলোর মধ্যে ছেলে মেয়েরা চুম্মাচাটি করে থাকে। এদের ধারণা অনুযায়ী এগুলোই হলো পশ্চিমা সংস্কৃতি, যদিও চুম্মাচাটি করার জন্য পশ্চিমা সভ্য সমাজের রেস্টুরেন্টে এধরণের পর্দা দিয়ে ঢাকা মুরগির খোপের মতো স্থান কোথাও দেখিনি।

পশ্চিমা সভ্য সমাজে LGBTQIA+P আসারও ৪০০০ বছর আগে এদেশে হিজড়া সম্প্রদায় আবির্ভুত হয়েছিল। আজ বাংলাদেশের সমাজে নারী এবং শিশু ধর্ষণ দৈনন্দিক ঘটনা। মাদ্রাসায় প্রতিদিন রাসূলের আদর্শ মেনে চলা শিক্ষকেরা শিশুদেরকে ধর্ষণ করে। মিডিয়া সেটাকে কম গুরুত্ব দেওয়ার জন্য এই ধর্ষণকে 'বলাৎকার' বলে থাকে যেন চোদু জনতা বুঝতে না পারে কি হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশ ভারতের গোবরখেকো যুবকেরা নারীর অভাবে বিভিন্ন পশুপাখিকেই ধর্ষণ করা শুরু করে দিয়েছে। ভারতের চিড়িয়াখানায় কোমোডো ড্রাগনের মতো প্রাণী ধর্ষণ হওয়ার ঘটনাও ভারতীয় সংবাদপত্রে আজকাল দেখা যায়।

উপসংহার

এ পৃথিবীর সমস্ত সাগরের পানির সমপরিমাণ কলমের কালি দিয়েও এই দক্ষিণ এশীয় সংস্কৃতির খারাপ দিকগুলো লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। আবার পৃথিবীর সমস্ত বাঁশ ঝাড় থেকে বাঁশ কেটে চোদু জনতার পাছায় আঘাত করেও এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। এ সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে সহজ উপায় হল দক্ষিণ এশিয়ায় কয়েক হাজার পারমাণবিক বোমা মেরে চোদু জনতাকে বিলুপ্ত করে দেওয়া। খাদ্য এবং চোদাচুদির বাইরে যে জাতির জীবনে আর কোনও উদ্দেশ্য নেই, সে জাতিকে জীবিত রাখা মানবসভ্যতার জন্য নিরাপদ নয় !