কেরানীগঞ্জে চলছে ফুড রিভিউ এর নামে নির্লজ্জ রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা!
'রাফসান দ্যা ছোটভাই' নামক এই ইউটিউবার গত কয়েক বছর যাবৎ ইউটিউবে ব্যাঙ্গাত্মকভাবে ফুড রিভিউ করে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত সমাজের যুবক এবং কৈশর বয়সীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের রাস্তাঘাটের খাদ্য খাওয়ার পর কতবার শৌচাগারে যায় সেটি তার ভিডিওতে না দেখালেও বেশিরভাগ সময় সেই খাদ্য খেয়ে বলে 'জোস হয়েছে মামা'। ছেলেটির বাপ একজন সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা। টাকাপয়সা মেরে খেয়ে ওপরে উঠেছে বলেই ছেলে এতো অর্থ ব্যায় করে এসব ছ্যাচড়ামি করে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে, নসরুল হামিদ বিপু বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী। এই ব্যাক্তি দীর্ঘ তিন বছর কয়লার টাকা মেরে খেয়ে বিদেশে পাচার করে দিয়েছিল বলেই বাংলাদেশে এ বছর ব্যাপকহারে লোডশেডিং দেখা গিয়েছিল। আর এজন্যই নিজের ইমেজ রক্ষার্থে এই ইউটিউবারকে ভাড়া করে তাকে দিয়ে ভিডিও বানিয়ে নির্লজ্জ প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। এই লোক চোদু জনতাকে গরমকালে লোড শেডিংয়ের মাধ্যমে যে ছ্যাকা দিয়েছিল, এই প্রোপাগান্ডার ভিডিও দেখেই চোদু জনতা ওসব ভুলে যাবে।
ভিডিওটি এমনভাবে দেখানো হয়েছে যে তার এলাকার সব মানুষ খুশিতে আছে। ভিডিওটি শীতকালে বানানোর আরও একটি সুবিধা এই যে এসময় মানুষ মোটা পোশাক পরিধান করার কারণে কাউকে দেখে গরিব মনে হয় না। ফকির, মিসকিনদের গায়েও আজকাল সেকেন্ড হ্যান্ডের জ্যাকেট থাকে। ভিডিওটিতে সেই মন্ত্রী ইউটিউবারকে তার ঘরের মধ্যে সুইমিংপুল ওয়ালা বেখাপ্পা কিন্তু ব্যায়বহুল বাসায় নিয়ে যায়। রাফসান তাকে জিজ্ঞেস করতে পারতো যে, এই বাড়িটি কয়জন আমজনতার পয়সা মেরে খেয়ে বানিয়েছেন কিন্তু ছেলেটি সেটা করেনি। ভিডিওটির শেষের দিকে কেরানীগঞ্জের ঘোলা পানির নদীতে নৌকায় উঠে মন্ত্রী বিপু বলে, এই নদীর পানি আগে অনেক স্বচ্ছ ছিল, প্রচুর গলদার চিংড়ি পাওয়া যেত। ইউটিউবার তাকে প্রশ্ন করতে পারতো যে, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে নিজ এলাকার নদী রক্ষায় কি বাল ছিড়েছেন। কিন্তু সেটি জিজ্ঞেস না করে অন্য বালের প্রশ্ন করে। পুরো ভিডিওটির কাহিনী ছিল আগে থেকে সাজানো। তবে বাংলাদেশের অন্যান্য রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডার চেয়ে এটি কিছুটা সফল হতে পারে। নেতা ভিডিওতে বোঝানোর চেষ্টা করেছে যে, আমিও তোমাদের দশজনের একজন। আমিও তোমাদের মতো বিরিয়ানী, চটপটি খাই, আমিও তোমাদের মতো সুপারম্যান পছন্দ করি, এজন্য তোমরা আমাকে ভোট দাও! তবে সামনে আসিতেছে গরমকাল! চোদু জনতার বোঝা উচিৎ যে এই লোক তাদেরকে আবারও লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে ছ্যাকা দিতে চলেছে!