যেভাবে বাংলাদেশের মানুষের জীবনের প্রত্যেকটি সমস্যার জন্য ভারত দায়ী।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশরা ভারতকে স্বাধীনতা ভিক্ষা দেয়। ভিক্ষা দেওয়ার কয়েকদিন আগে ভারতের ম্যাপের ওপরে দুটি ছবি এঁকে যায়। সেই দুটি ছবি আজ বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের ম্যাপ। ওরা যদি ভারতের ম্যাপের উপরে ডাইনোসরও এঁকে দিতো, তাহলে বাংলাদেশের ম্যাপের আকৃতি আজ ডাইনোসরের মতো হতো। এই বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডে জন্মগ্রহণ করার একটাই সুবিধা এই যে নিজেকে ভারতীয় পরিচয় দিতে হয়না! এছাড়া বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করার কোনও বাড়তি সুবিধা নেই। বাংলাদেশ, ভারতের মতো দেশে জন্মগ্রহণ করা একপ্রকারের অভিশাপ। তবে এই অভিশাপের উৎপত্তিস্থল ভারত ! ভারতের বিষাক্ত এবং নিম্নমানের সংস্কৃতি ভারতের জনগণকে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে, ঠিক তেমনই প্রতিবেশী দেশগুলোকেও খোঁড়া বানিয়ে দিয়েছে। আমরা এই দৈনিক বঙ্গবল্টু নামক পত্রিকায় দক্ষিণ এশীয় নিম্নমানের সংস্কৃতির সমালোচনা করে থাকি। ভারতীয় চাটুকারী সংস্কৃতির প্রভাবে যেভাবে দক্ষিণ এশিয়ার লোকেরা কিভাবে পৃথিবীর সবচেয়ে নিম্নপ্রজাতির মানুষ হয়ে আছে তা তুলে ধরি। ব্রিটিশরা কখনোই এই নোংরা উপমহাদেশকে শাসন করতে চায়নি। ভারতীয় চোদনারাই তাদের পা চেপে ধরে রেখেছিলো। যার জন্য বর্তমান বাংলাদেশ ভূখন্ডের এই এরিয়ার লোকেরাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভারতের নাটক, সিনেমা, গান-বাজনা সহ বিভিন্ন বিনোদন পণ্য যুগে যুগে বাংলাদেশের যুব সমাজকে গ্রাস করেছে। এককালে বাংলার যুবকেরা ভারতের পেয়ার-মুহাব্বতের সিনেমা দেখে প্রেমে ছ্যাকা খেয়ে আবেগে মেয়েদের মুখে এসিড মেরেছে। ভারতের এসব সিনেমা না দেখলে ছ্যাকা খাওয়ার পর তাদের এতো আবেগ আসতো না, আর এসব সমস্যাও দেশে দেখা যেত না। ভারতীয় সংস্কৃতিকে আমি সংক্রামক মানসিক ব্যাধি মনে করি। ভারতীয় সংস্কৃতি নামক এই মানসিক ব্যাধি দক্ষিণ এশিয়ার লোকেদের চাটুকারিতা, চৌর্য্যবৃত্তি বা চুরি চামারি করার টেনডেন্সি, নির্লজ্জতা, স্বজনপ্রীতি, পরনির্ভরশীলতা, অতিরিক্ত আবেগ, পুরুষত্বহীনতাসহ শতশত সমস্যার জন্য দায়ী। আজ এই গ্রহের প্রতি ছয়জন মানুষের মধ্যে দুজনই ভারতীয়, আর এই সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে ! অর্থাৎ ভারতীয় সংস্কৃতি পুরো মানবসভ্যতার জন্যই হুমকি। সমস্ত ভারতীয়দেরকে ভ্যানিশ করে দেওয়ার জন্য যদি কোনো ম্যাজিক বাটন থাকতো তাহলে আজই সেই বাটনে থাবা মারতাম!
সম্প্রতি পিনাকী ভট্টাচার্য নামক এক দেশপ্রেমিক ইউটিউবার বাংলাদেশের আমজনতার কাছে ভারতীয় পণ্য বর্জণের আহ্বান জানিয়েছে। শোনা যাচ্ছে আমজনতা তার ডাকে সাড়াও দিচ্ছে। ড্যামেজ কনট্রোল করার জন্য মাইক্রোফোনে চুম্বন করে ছ্যাচড়ামি দেখানো আওয়ামী লীগপন্থী ইউটিউবার এনায়েত চৌধুরী এই মুভমেন্টের বিপক্ষে ভিডিও বানিয়ে আমজনতার ব্যাপক রোষানলে পড়ে। তবে পিনাকী ভট্টাচার্যের এই মুভমেন্ট বেশিদিন স্থায়ী হবেনা। দুদিন পর আমজনতা ভুলে যাবে। পিনাকী ভট্টাচার্যের জায়গায় আমি থাকলে বাংলার আমজনতার কাছে আহ্বান জানাতাম, ভারতের নোংরা কাঁটাতারে বেষ্টিত চোর-ছ্যাঁচোড়ে ভরা এই ভূখণ্ডকেই বর্জন করে এন্টার্কটিকায় গিয়ে নিউ বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে। পূর্বের প্রতিবেদনে আমরা এ বিষয়ে আমাদের পরিকল্পনা তুলে ধরেছি।