যীশু খ্রিস্টের আদর্শের অভাবের কারণেই আজ চোর, বাটপারে ভরপুর বাংলাদেশ !
কিছুদিন আগে এক যুবা বয়সী ছেলে আমার কাছে এসে বলল যে, সে যীশু খ্রিস্টের আদর্শের সাথে একমত নয়। কেউ যদি তার একগালে থাপ্পড় মারে, তাহলে সে তার অপর গাল পেতে দিতে পারবে না। তখন আমি যুবা ছেলেটিকে বললাম, যীশু খ্রিষ্ট তো এটা বলেনি যে কেউ থাপ্পড় মারলে তাকে হত্যা করো না! যীশু খ্রিস্ট কোনো আবাল নন!
পৃথিবীর যেসব দেশের লোকেরা যীশু খ্রীষ্টের আদর্শে চলেনা, সেসব দেশগুলো চোর বাটপারে ভরপুর! উগ্রবাদী মুসলিম বিশ্ব, কিংবা ভারতের গোবরখেকো উগ্রবাদী হিন্দুরা সর্বদা আধুনিকতাকে পরিহারের নাটক দেখায় কিন্তু কাজে দেখতে পারেনা। ২০০৯ সালের দিকে এক ব্যাক্তি আমাকে বলেছিলো যে টেলিভশন হচ্ছে শয়তানের বাক্স। আজ সেই ব্যক্তি শুয়ে শুয়ে টিকটকে মেয়েদের পাছা দোলানো ভিডিও দেখে। আর হিন্দু ধর্মের গুরুরা যে ভন্ডামিতে অলিম্পিকের মেডেলপ্রাপ্ত, সেটা আজকালকার পাঁচ বছরের শিশুও জানে। কিন্তু খ্রিষ্টধর্মের লোকেদের মধ্যে ভন্ডামি কম দেখা যায়। খ্রিষ্টধর্মের আমিশ সম্প্রদায়ের লোকেরা আধুনিকতা পরিহারের ডায়লোগ না মেরে সত্যি সত্যিই তিনশো বছর ধরে আধুনিকতা পরিহার করে আসছে। ওরা বিদ্যুৎ, ওয়াশিং মেশিন, টেলিভিশন সহ কোনও আধুনিক জিনিস ব্যবহার করে না। ফলে তাদের টিকটকে মেয়েদের পাছা দোলানো ভিডিওউ দেখা লাগেনা! পৃথিবীর বেশিরভাগ খ্রিস্টানপ্রধান দেশগুলোতে দুর্নীতি, বাটপারি কম হয়। কিছু দেশে দুর্নীতি হলেও সেগুলো মুসলমান কিংবা হিন্দু দেশের লেভেলের দুর্নীতি নয়। মুসলমান ধর্মে দুর্নীতি এবং চুরি চামারীর জন্য আখিরাতে হাজার হাজার বছর ধরে জাহান্নামের আগুনে পোড়ানোর শাস্তির বিধান রয়েছে, কিন্তু মুসলমান বিশ্বের কেউ ভয় না পেয়ে চুরি চামারি চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ কোনো হারামজাদাই এসব বিশ্বাস করেনা, শুধু মুসলমানত্বের নাটক দেখায়। অন্যদিকে হিন্দুরাও ভগবানের নাম নিয়ে চুরি চামারি চালিয়ে যাচ্ছে!