যৌনতার লালসায় খৃস্টধর্ম গ্রহণ করে যেভাবে বিপাকে পড়েন মাইকেল মধুসূদন দত্ত

যৌনতার লালসায় খৃস্টধর্ম গ্রহণ করে যেভাবে বিপাকে পড়েন মাইকেল মধুসূদন দত্ত
চিত্র: মাইকেল মধুসূদন দত্ত

বাংলা সাহিত্যে মাইকেল মধুসূদন দত্ত একটি লজ্জার নাম। মাইকেলের জন্ম সম্ভ্রান্ত বাঙ্গালী পরিবারে হলেও তার যৌন চাহিদা ভারতবর্ষ কোনদিন পূরণ করতে পারেনি। শ্বেতাঙ্গ নারীদের প্রতি ছিল তার বিশেষ দূর্বলতা। শ্বেতাঙ্গ নারীদেরকে বিবাহ করার জন্য তিনি আঠারো বছর বয়সেই সনাতন ধর্ম ছেড়ে খৃষ্টধর্ম গ্রহণ করেন। পুচকে ছেলের এতো বড় সাহস দেখে তার বাপ তাকে ত্যাজ্যপুত্র করেন। কিন্তু ত্যাজ্যপুত্র করার পরেও ছেলের প্রতি মায়া থাকায় চার বছর ধরে ছেলের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থ পাঠাতে থাকেন। এরপর চাকরির সন্ধানে মধুসূদন চলে যান দক্ষিন ভারতের শহর মাদ্রাজে, বর্তমানে যা চেন্নাই নামে পরিচিত । মাদ্রাজে গিয়ে ছয় মাসের মধ্যেই রেবেকা নামক এক ইংরেজ শ্বেতাঙ্গ নারীকে তিনি বাগিয়ে নেন এবং বিবাহও করেন। আটবছরের সংসারে তাদের দুটি সন্তানও হয়। কিন্তু আটবছর পর রেবেকা মধুসূদনকে ডিভোর্স মারলেও তার মধ্যে কোনও হতাশা দেখা যায়নি, বরং অল্প সময়ের মধ্যেই সোফিয়া নামক একজন ফরাসি শ্বেতাঙ্গ তরুণীকে বাগিয়ে নেন তিনি এবং তার সাথে বিবাহ করে আরও দুটি সন্তানের জন্ম দেন। সে আমলে বর্ণবাদ থাকা সত্বেও মধুসূদন শ্বেতাঙ্গ নারীদেরকে একের পর এক বাগিয়ে নিয়েছেন। কারণ সাহিত্যের আড়ালে শ্বেতাঙ্গ নারীদের সাথে শোয়াবসা করাই ছিল তার জীবনের একমাত্র লক্ষ। স্বয়ং কবিগুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর, মধুসূদন সম্পর্কে নিজেই বলেছেন, "ব্যাটা এক নাম্বারের মাগিবাজ আছিলো"।

তবে শ্বেতাঙ্গ নারীদের জন্য জীবনকে উৎসর্গ করার কারণে মাইকেল মধুসূদনকে দিতে হয়েছিল চরম মূল্য। দেশে চাকরি-বাকরি না পেয়ে উকালতির ক্যারিয়ার গঠনের জন্য তিনি বিলেতে পাড়ি জমান। কিন্তু সেখানকার বর্নবাদ হজম করতে না পেরে সেখান থেকে ফ্রান্সে পাড়ি জমান এবং আইন শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানকার খরচাপাতি চালাতে হিমশিম খান মাইকেল মধুসূদন দত্ত। একপর্যায়ে তিনি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বারস্থ হন এবং ইশ্বরচন্দ্র টাকা পাঠালে তিনি দেশে ফিরতে পারেন। পরবর্তিতে তিনি আইন ব্যাবসায় ফেল মেরে দারিদ্রতায় মৃত্যুবরণ করেন। আর এভাবেই সমাপ্তি ঘটে বাংলার ইতিহাসের সবচেয়ে নারীলিপ্সু সাহিত্যিক মাইকেল মধুসূদন দত্তের।