যে কারণে পুলিশ বিহীন বাংলাদেশই জনগণের জন্য বেশি নিরাপদ।

যে কারণে পুলিশ বিহীন বাংলাদেশই জনগণের জন্য বেশি নিরাপদ।
পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি উচ্চতার সেই ডিবি হারুন

দুদিন আগে দেখলাম এক পুলিশ কেঁদে কেঁদে টিকটক ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়েছে। অনেক নিউজ চ্যানেলেও দেখা যাচ্ছে পুলিশদের মায়াকান্না। সবার মুখে একই কথা যে পুলিশের প্রধান "আইজিপি স্যারের" অর্ডারে আমরা বিভিন্ন অকর্ম করেছি, আমরা নিম্নপদের লোক, এগুলো আমাদের দোষ নয় ইত্যাদি ইত্যাদি। এর মানে ওরা বলতে চাচ্ছে, রাস্তাঘাটে গাড়িঘোড়া থামিয়ে নির্লজ্জের মতো চাঁদা নিয়েছে উপরের লেভেলের লোকের আদেশে। ওরা ক্ষুদ্র ঝালমুড়িওয়ালার কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা না পেয়ে গুম করেছে উপরের লোকের আদেশে। ওরা নিরীহ লোকেদের মিথ্যা মামলা দিয়ে, ভয়ভীতি দেখিয়ে পয়সা খেয়েছে উপরের লোকের আদেশে। এসব অকামের পর সেসব টাকা দিয়ে সাকলায়েনের মতো পুলিশরা পরিমনির মতো বেশ্যার সাথে চোদাচুদি করেছে "আইজিপি স্যারের" আদেশে। এসবের কোনো কিছুই এরা কখনোও করতে চাইনি, এদের নাকি অর্থ, যশ কোনোকিছুর প্রতিই লোভ নেই, কিন্তু করতে হয়েছে "আইজিপি স্যারের" আদেশে। এর মানে, তোদের আইজিপি স্যার যদি তার অফিস কক্ষে তোকে ডেকে ব্লো-জব দিতেও বলে তাহলে তোরা সেটাও করবি।  এর মানে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি পুলিশ সমকামী।

চোদু জনতার রিঅ্যাকশন

আশ্চর্যজনকভাবে বাংলার চোদু জনতার অনেকেই পুলিশদের এসব মায়াকান্নায় কান দিচ্ছে। অনেকে বলছে "সব পুলিশই খারাপ না"। চোদু জনতার এসব আবেগকে পুঁজি করে পুলিশরাও ন-দফা দাবি নিয়ে ডিউটি করছে না। ছাত্রদেরকে গণহত্যা করার সময় ওরাও নাকি "শহীদ" হয়েছে। কোটা আন্দোলন সমন্বয়কসহ বাংলাদেশের হারমোনিয়াম বাজিয়ে রবীন্দ্রসংগীত গাওয়া সুশীল সমাজও পুলিশের বিষয়ে রাতারাতি সুর নরম করে দিয়েছে। আর বাংলার আবেগী ক্ষেত খামারের লোকেরাতো কয়েক মিলিসেকেন্ডের মধ্যেই মেন্টালিটি পরিবর্তন করে ফেলে। তবে বাংলাদেশের অবস্থা আবার আওয়ামীলীগের আমলের মতো হয়ে যাবে, যদি দেশের প্রত্যেকটি পুলিশকে চাকরিচ্যুত করে কারাগারে নিক্ষেপ না করা হয়।

তাহলে দেশের মানুষের নিরাপত্তা দেবে কে?

এই প্রতিবেদনে আমরা বাংলাদেশের "পুলিশ" নামক লাইসেন্সধারী সন্ত্রাসীদেরকে সন্ত্রাসী বলিনি পাঠকের বিভ্রান্তি এড়াতে। বাংলাদেশের পুলিশরা যা করে, সন্ত্রাসীরাও তা-ই করে। সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে সেবা পাওয়ার আশা করা হাস্যকর বিষয়। গাড়ির জানালা খোলা থাকা অবস্থায় মোবাইলে কথা বলার সময় মোবাইল কেউ টান মেরে চুরি করার পর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে ওদের কাছে সাহায্য পাওয়ার চেয়ে খড়ের মধ্যে সুচ খুঁজে পাওয়া সহজ। কারণ পুলিশও চুরি-চামারিতে ব্যস্ত, সাহায্যের সময় নেই। আমি এও দেখেছি যে এক ব্যক্তি পুলিশ স্টেশনে গিয়ে মাদক কিনে আনছে। মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জব্দ করা মাদক বিক্রি করে দেশের সবচেয়ে বড় মাদক ব্যাবসায়ীতেও পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের এই তথাকথিত পুলিশ বাহিনী। বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়া একটি আলাদা গ্রহের মতো যেখানে পশ্চিমা সংস্কৃতি কায়েম করা প্রায় অসম্ভব। পুলিশ একটি পশ্চিমা সংস্কৃতির অংশ যেটা ব্রিটিশ আমলে এদেশে আমদানি হয়েছে। পুলিশের মতো এসব পশ্চিমা কনসেপ্ট চোদু জনতার দেশে আমদানি করা কুকুরের পেটে ঘি হজম করানোর মতোই কঠিন। যতই এদেশে পশ্চিমা সংস্কৃতি আমদানির ব্যর্থ চেষ্টা হবে, ততই দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে থাকবে। এজন্য পুলিশ ছাড়াই এদেশের মানুষ বেশি নিরাপদ। পশ্চিমা সংস্কৃতি গ্রহণের নামে দেশীয় সমাজের কিছু মানুষ যেসব ছ্যাঁচড়ামি করে থাকে সে বিষয়ে আমরা পূর্বের একটি প্রতিবেদনে আলোচনা করেছি।