বাংলাদেশের তরুণরা যে পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুকরণ করছে সেটি প্রকৃত পশ্চিমা সংস্কৃতি নয় ।
বাংলাদেশ এবং ভারতীয় উপমহাদেশীয় সংস্কৃতি বিশ্বের সবচেয়ে নিম্নমানের সংস্কৃতির একটি। এই সংস্কৃতিতে চাটুকারিতা, অলসতা, নির্লজ্জতা, আত্মসম্মানের অভাব, স্বজনপ্রীতি সহ আরও প্রচুর সমস্যা রয়েছে যার লিস্ট বানালে সেই লিস্ট দিয়ে পৃথিবীকে ৫০ বার পেচানো সম্ভব।
যুগে যুগে এ দেশের অনেক মানুষ পশ্চিমা সংস্কৃতিকে এক প্রকারের প্রতিমা বানিয়ে তা গ্রহণ করার চেষ্টা করেছে বাচ্চাকে ইংলিশ মিডিয়াম বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে, কিংবা কথায় কথায় ইংরেজি বুলি আউড়ে। বলা বাহুল্য যে, এইসব লোকেদের মধ্যেই দক্ষিণ এশীয় সংস্কৃতির উক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো আরও বেশি দেখা যায়। এসব বাংলাদেশী এবং ভারতীয় উপমহাদেশীয় চোদনাদের সাথে কোনও রকমের যুক্তিতর্ক করতে গেলেই তাদের আসল চেহারা বেরিয়ে আসে। তর্কে পেরে না উঠলে টপিক ঘোরানোর চেষ্টা, ব্যাক্তিগত আক্রমণ, এমনকি গালাগালিও করে থাকে যা পশ্চিমা সভ্য সমাজের মানুষের আচরণের পরিপন্থী। এছাড়াও এসব দক্ষিণ এশীয় চোদনাদের মধ্যে আরও একটি বিষয় দেখেছি যে কেউ ইংলিশে কথা বলার সময় ব্যাকরণ ভুল করলে সেটি তুলে ধরে টিটকারি মারার চেষ্টা করে। আমি অনেক সভ্য সমাজের মানুষের সাথে আড্ডা মেরেছি, তর্ক বিতর্কে জড়িয়েছি, বাংলা ভাষায় কথা বলার সময় যেভাবে ব্যাকরণ ভুল করি সেভাবে ইংরেজিতেও ব্যাকরণ ভুল করেছি, ওরাও আমার থেকে বেশি গ্রামার ভুল করেছে, কিন্তু কেউ কাউকে এ বিষয়ে টিটকারি মারেনি দক্ষিণ এশীয় চোদনাদের মতো। এসব কারণেই ২০২০ সালের আগে একটানা ৮ বছর বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার কোনও অচেনা চোদনার সাথে সব রকমের মেলামেশা করা থেকে বিরত থেকেছি।
ভুয়া নারী অধিকার
বাংলাদেশের সরকার গার্মেন্টস কোম্পানির সুবিধার জন্য দেশে পশ্চিমাদের মতো নারী অধিকার বাড়ানোর নামে গন্ড গ্রামের নারীদের ঢুকিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন গার্মেন্টসে । যেখানে তাদের নিম্নতম বেতন দিয়ে সারাদিন ব্যাবহার করে নেওয়া হয়। যদি গার্মেন্টস কোম্পানিগুলো নারীদেরকে এভাবে ব্যাবহার না করতো, তাহলে এসব নারীরা নিজেই দর্জির ব্যাবসা খুলে আরও বেশি অর্থ উপার্জন করতো। এছাড়াও অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার, যাদের অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের প্রয়োজন নেই এমন পরিবারের অনেক নারীদেরকেও বাচ্চা বাড়িতে ফেলে রেখে কর্মস্থলে যেতে দেখা যায়, যেটিকে বাংলাদেশের চোদু জনতা পশ্চিমা সংস্কৃতি কিংবা আধুনিকতা মনে করে। কিন্তু পশ্চিমা দেশে বেবিসিটিং এর ব্যবস্থা এবং প্রকৃত শিক্ষা ব্যবস্থার বিদ্যালয় থাকে যা বাংলাদেশের ভুয়া শিক্ষা ব্যবস্থার বিদ্যালয়ের মতো ক্ষতিকারক স্থান নয়। বাপ-মায়ের বাড়িতে ফেলে রাখা এসব সন্তানদেরকে দাদা, দাদী, নানা, নানী দেখাশুনা করে মানুষ করে থাকে। পরবর্তীতে এসব বৃদ্ধ ব্যাক্তি যদি বাচ্চার বয়স ১২-১৩ হওয়ার সময়েই মারা যায় তখন এর প্রভাব বাচ্চার উপর সারাজীবন থাকে। এছাড়াও, যৌথ পরিবার পশ্চিমা সংস্কৃতির পরিপন্থী ।
তাহলে এর সমাধান কি?
বাংলাদেশ কিংবা দক্ষিণ এশিয়া কোনও পশ্চিমা সংস্কৃতি পালনের সঠিক স্থান নয়, এমনকি অনেক ব্যাক্তি লন্ডন, নিউ ইওর্কেও পশ্চিমা সংস্কৃতি পুরোপুরি হজম করতে পারেনা। আপনার যদি পশ্চিমা সংস্কৃতি গ্রহণের ইচ্ছা থাকলেও আর্থিক কিংবা মানসিক সামর্থ না থাকে, তাহলে ছ্যাচড়ামি বাদ দিয়ে দক্ষিণ এশীয় সংস্কৃতি গ্রহণ করে সেটার মধ্যেই শান্তি খুজুন।