ইলন মাস্কের সাথে বন্ধুত্ব করার জন্য যেভাবে জনগণের পয়সায় বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইট উৎক্ষেপণ করেছিল সজীব ওয়াজেদ জয় !
ইলন মাস্ক তার মেধা এবং ব্যাবসা বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার গন্ডি পেরিয়ে ধনকুব হয়েছে। অন্যদিকে সজীব ওয়াজেদ জয় একজন আমেরিকার পাসপোর্ট ঢেকে রাখা বাংলাদেশী "রাজনীতিবিদ" যার একমাত্র যোগ্যতা হলো তার মা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এই ব্যাক্তিকে বাংলাদেশে ঠেলাগাড়ি টেনে কিংবা কুলিগিরি করে অর্থ উপার্জন করতে হতো, যদি এর জন্ম মুজিব্বার পরিবারে না হতো। সজীব ওয়াজেদের জন্ম কি আসলেই ১৯৭১ সালে নাকি এটি বাল সরকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নামক ছ্যাচড়ামির অংশ তা আজও অস্পষ্ট । দক্ষিণ এশীয় চাটুকারি চোদু জনতার একটি বৈশিষ্ট্য হলো তারা উঁচু লেভেলের মানুষদের সাথে ওঠাবসা এবং বন্ধুত্ব করার জন্য সর্বদা উদগ্রীব। প্রধানমন্ত্রী পূত্র সজিব ওয়াজেদের ক্ষেত্রেও এই বৈশিষ্ট্য ব্যতিক্রম নয়। ২০১৭-১৮ সালের দিকের সময়টি ছিল ইলন মাস্কের উত্থানের সময়। বিভিন্ন মোটিভেশনাল স্পিকার নামক বাটপাররা ইলন মাস্কের "দরিদ্র" পরিবার থেকে উঠে এসে ধনকুব হওয়ার মতো অসত্য কাহিনী বেকুব জনতাকে শুনিয়ে মোটিভেশন দিতে থাকে এবং মিডিয়ায় রাতারাতি ইলন মাস্কের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় আমেরিকার এক শ্রেনীর বেকুব জনতা তার টেসলা কোম্পানির শেয়ার কিনে কিনে তার কোম্পানির ভ্যালুয়েশন বাড়াতে থাকে। ইলন মাস্কের এই জনপ্রিয়তা দেখে প্রধানমন্ত্রী পূত্র সজীব ওয়াজেদের মনে তার সাথে বন্ধুত্ব এবং ওঠাবসা করার শখ জাগে। বাংলার চোদু জনতা ওয়াজেদকে ট্যালেন্টেড মাল ভাবলেও সে নিজে ঠিকই বোঝে সে একজন অকর্মের ঢেকি। দেশ থেকে তার মাতা বাংলাদেশের সম্পদ চুরি করে বিদেশে পাচার করে দেয় এবং সেগুলো দেখাশোনা এবং ভোগ করা বাদে তার জীবনে কোনও কাজ নেই। তবে ইলন মাস্কের সাথে ওঠাবসার মাধ্যমে তার এই অবস্থার পরিবর্তন করতে চেয়েছিল সজীব ওয়াজেদ। ভেবেছিল ইলন মাস্কের সাথে নেটওয়ার্কিং, অর্থাৎ সম্পর্ক থাকলে বিনিয়োগকারীরা আমেরিকায় ওয়াজেদের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করবে। এতে মায়ের প্রতি নির্ভরশীলতা কমানোর মাধ্যমে তার স্ত্রী এবং সন্তানদের কাছে প্রমাণ করতে পারবে সে কোনও 'বিগ বেবি' অর্থাৎ মায়ের প্রতি নির্ভরশীল ধেড়ো শিশু নয়। আর এজন্যই ২০১৮ সালের মে মাসে সজীব ওয়াজেদের আদেশে বাংলাদেশ সরকার বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটালাইট ২৪৮ মিলিওন ডলার খরচ করে উৎক্ষেপণ করে দেয় ইলন মাস্কের সাথে ডিনারের সুযোগ পাওয়ার জন্য। এখানে উল্লেখ্য যে, সেই ২৪৮ মিলিওন ডলারের মধ্যে ১৮৮.৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়া। অর্থাৎ চোদু জনতাকে এই ঋণের অর্থ আজও শোধ করতে হচ্ছে মূদ্রাস্ফিতির মাধ্যমে। এই অর্থ দিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থাকে অনেক উন্নত করা যেত তাহলে হাসপাতালের বারান্দায় মানুষকে শুয়ে থাকতে হতো না। কিন্তু সেটা করলে তো আর সজীব ওয়াজেদের সাথে ইলন মাস্কের ডিনার সম্ভব হবে না!
এই স্যাটালাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে বাংলার মানুষের রক্তের টাকা দিয়ে, কিন্তু সরকার এই স্যাটালাইটের মাধ্যমে কত উপার্জন করেছে তার আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে না। কারণ স্যাটালাইটের দায়িত্বে যাদের রাখা হয়েছে ওরা সব সরকার এবং নেতা-হাতাদের অযোগ্য আত্মীয়স্বজন। ওরা স্যাটালাইটের কাস্টোমার খুজে পেতে ব্যর্থ! আর এর মূল্য চোকাতে হচ্ছে বাংলার মানুষকে। বাংলাদেশের হয়তো কোনও এক রিকশাচালক তার প্রতিবন্ধী সন্তানের ঈদের জামা কেনার জন্য সারাদিন রিকশা চালিয়ে রাতে বাড়ি যাওয়ার সময় রক্তবোমি করে ফেলে এবং রিকশা থামিয়ে একটি টিউবয়েলের কাছে যায় মুখ ধোয়ার জন্য। আর এসে দেখে তার রিকশার সিটের মধ্যে রাখা তার সন্তানের নতুন জামা এবং সমস্ত টাকা চুরি হয়ে গেছে। আর ওদিকে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর অযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, ইলন মাস্কের সাথে ডিনার করছে সেই রাতে।