পাঞ্জেরী গাইড মুখস্ত করে 'শিক্ষিত' হওয়া যুবকেরা কুপিয়ে হত্যা করলো খাবারের বিল না দেওয়া এই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে; আর এ বিষয়ে আমাদের কিছু মতামত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যাকে চোদু জনতা প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলে থাকে। শুধু রাজনীতি, সমাবেশ, চাঁদাবাজিসহ নানারকম বালছালের আখড়া হিসেবে পরিচিত এই "বিশ্ববিদ্যালয়টি"। সেখানে ঢুকলেই শুধু দেখা যায় বিভিন্ন নেতা-হাতাদের মাথার ছবিওয়ালা সাইনবোর্ড এবং পোস্টার। নামমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলেও এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার জন্য ভর্তি-পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে লাইন ধরে থাকে দেশের মধ্যবিত্ত পরিবারের যুবা বয়েসীরা। কারণ তাদেরকেও এই প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে হবে দু-নম্বরি উপায়ে অর্থ উপার্জনের জন্য। এদের অনেকেই দেশের ছাত্র রাজনীতির চান্দা-ধান্দা বাণিজ্যের মধ্যে ঢুকে অর্থ উপার্জন করবে, তবে অধিকাংশ চোদনাদের উদ্দেশ্য থাকে গ্রাজুয়েশনের পর সরকারি চাকরি পেয়ে টেবিলের তলা দিয়ে অর্থ উপার্জনের। কারণ এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন করা লোকেদের ঘুষ ছাড়া সরকারি চাকরি পাওয়ার সম্ভবনা কিছুটা বেশি থাকে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যেকেই চোর হওয়ার জন্য ঢোকে। সুতরাং এসব তথাকথিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কাছে নীতিনৈতিকতার আশা শুধুমাত্র দেশের হাবাগোবারাই করতে পারে। কয়েকদিন আগে তোফাজ্জল নামক মানসিক ভারসাম্যহীন নিরীহ ব্যক্তিকে পাঞ্জেরী গাইড মুখস্ত করে শিক্ষিত হওয়া যুবকেরা যে কুপিয়ে হত্যা করেছে, সেটি দেশের এসব ভুয়া শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিক ঘটনা। যখন আওয়ামী বেশ্যা ক্ষমতায় ছিল তখন মিডিয়া এসব খবর প্রকাশ করে সাহস পেত না। কিন্তু আওয়ামী বেশ্যা দেশকে চুদে দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর এখন সাহস দেখাচ্ছে।
বুয়েটের আবরার ফাহাদ এবং টোকাই তোফাজ্জল হত্যার মধ্যে পার্থক্য
আমাদের দেশের আবার হারমোনিয়াম বাজিয়ে রবীন্দ্র সংগীত গাওয়া মদ্ধবিত্ত সমাজ নামক ফকিন্নিদের টোকাই তোফাজ্জলের সাথে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদের তুলনা করলে সেটা তাদের হজম হবেনা। তাদের বাচ্য অনুযায়ী টোকাই তোফাজ্জল আবরার ফাহাদের পায়ের নখের তুল্য নয়। আবরার ফাহাদ বুয়েটে পড়া শেষ করে সরকারি চাকরি পেয়ে টেবিলের তলা দিয়ে অর্থ কমাতে চলেছিল, কারণ বাংলাদেশের এসব তথাকথিত ইঞ্জিনিয়াররা কোথাও নোকরি পায় না। নাসার মতো প্রতিষ্ঠানের দারোয়ানের চাকরি করার যোগ্যতাও এদের নেই। মূলত সরকারি চাকরি পেয়ে টেবিলের তলা দিয়ে পয়সা ইনকামের উদ্দেশ্যেই এরা ওই প্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যায়। তবে বাংলাদেশের চোদনারা এসব চোরদেরকেই বেশি ভক্তি দিয়ে থাকে। তোফাজ্জলের মতো অসহায় মানুষ না খেতে পেয়ে মাথা ঘুরে রাস্তায় পড়ে গিয়ে গাড়ির চাকার তলায় পিষে মরুক তাতে আমার যায় আসে না, কিন্তু আমার মেয়েকে একটি বুয়েট ছাত্রের সাথে বিয়ে দিতেই হবে যেন সে সরকারি চাকরিতে ঢুকে দেশের মাল চুরি করে সে পয়সা দিয়ে আমার মেয়েকে খাওয়াতে পারে। বুয়েটের ছাত্রদের সাথে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ানোর জন্য লাইন ধরে থাকে পাত্রীর বাপেরা। নিজের মেয়ে কাকে চুদবে সেটাও ঠিক করে দেয় মেয়ের বাপ-মায়েরা। প্রাকৃতিক নিয়ম অনুযায়ী মানুষসহ পৃথিবীর সমস্ত প্রাণী তাদের বিপরীত লিঙ্গের মানুষকে নিজে বেছে নেয় যৌন সম্পর্কের জন্য। পশ্চিমা সভ্য সমাজের লোকেরাও নিজেরা কাকে চুদবে সেটা তারা নিজেরাই বাছাই করে নেয়, তাদের বাপ বাছাই করে দেয় না। কিন্তু শুধু বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতেই যুবা বয়েসী ছেলেমেয়েদের বাপেরা বাছাই করে দেয় যে তারা কাকে চুদবে। এটা একপ্রকারের পতিতাবৃত্তি। পতিতারা যেভাবে পয়সার জন্য নিজের অনিচ্ছা স্বত্বেও চোদাচুদি করে, বাংলাদেশের এরেঞ্জ ম্যারেজ প্রথাও এই একই জিনিস। কারণ ইহা প্রাকৃতিক নিয়মের বাহিরে। বলা বাহুল্য যে পতিতাবৃত্তির সংজ্ঞা অনুযায়ী বাংলাদেশের নব্বই শতাংশ মহিলাই প্রস্টিটিউট! এজন্যই বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোকে আমি বলে থাকি দ্যা ল্যান্ড অব লুচ্চো! যেখানকার লোকেরা খাদ্য এবং চোদাচুদির বাইরে কিছুই বোঝে না। আর এর জন্য এরা তাদের নীতিনৈতিকতা পরিহার করে দু-নম্বরি করতেও দ্বিধাবোধ করেনা। টোকাই তোফাজ্জল হলো এই লুচ্চো সমাজের একজন ভিকটিম।