ইউটিউবার বাদে ভারতে আসছে না কোনও বিদেশী পর্যটক!
উইকিপিডিয়ার মতো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে দেখা যায় ভারতে প্রতিবছর বিশাল সংখ্যক বিদেশী পর্যটক আসে। কিন্তু সেসব বিশাল বিশাল সংখ্যার পাশে পর্যটকদের গায়ের চামড়ার রং লেখা থাকেনা! ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার লোকেরা 'বিদেশী' শব্দটি শুধুমাত্র শ্বেতাঙ্গদের উল্লেখ করার জন্য ব্যাবহার করে। উইকিপিডিয়ায় দেখানো এসব পরিসংখ্যান যখন ভারতের চোদু জনতা দেখে তখন মনে করে এগুলো সবাই শ্বেতাঙ্গ পর্যটক। তাহলে এসব পর্যটকরা কারা? ভারতের চোদু জনতা উইকিপিডিয়ার পেজের প্রথম দু লাইন পড়ে, কিন্তু নিচে আরও কি লেখা আছে সেটা পড়ার মতো ধৈর্য্যশক্তি এসব অলসচোদা লোকেদের নেই। যে দেশে স্মার্টফোন ব্যাবহারকারীর সংখ্যা টুথব্রাশ ব্যাবহারকারীর সংখ্যার চেয়ে বেশি, তাদের কাছ থেকে এধরনের আচরণই আশা করা যায়। ভারত এবং দক্ষিণ এশীয় চোদু জনতার অলসতা নিয়েও একটি প্রতিবেদন আমাদের এই পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে। এবার মূল বিষয়ে আসি, ভারতের পর্যটকদের সবচেয়ে বড় অংশ হলো বাংলাদেশের লোকজন। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে বাংলাদেশীরা দক্ষিণ ভারতের চেন্নাই নামক একটি শহরে যায়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য প্রদেশের লোকেরাও বাংলাদেশীদের চেয়েও বেশি ভৌগোলিক দূরত্ব অতিক্রম করে সেখানে চিকিৎসা নিতে যায়। সুতরাং, ভারতের সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থাও ভালো নয়! মূলত বাংলাদেশের মেডিকেল টুরিস্টরাই ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থা টিকিয়ে রেখেছে। আর ভারতের দ্বিতীয় বৃহৎ 'পর্যটক' এর উৎস হলো প্রবাসে থাকা ভারতীয়রা। ওরা ভারতে তাদের আত্মীয়স্বজনের সাথে দেখা করতে আসে আর পর্যটক হিসেবে কাউন্ট হয়। আর তৃতীয় বৃহৎ 'পর্যটক' এর উৎস ভারতে ব্যাবসা সংক্রান্ত কাজের জন্য যাওয়া বিদেশী লোকজন। আর চতুর্থ বৃহৎ পর্যটকদের উৎস হচ্ছে এনজিওর লোকজন, ভারতীয়দের ভিক্ষা প্রদানের জন্য। আর পঞ্চম শ্রেনীর পর্যটকরা হচ্ছে আসল পর্যটক কিন্তু ওরা ইউটিউব ভিডিও বানাতে ভারতে আসে। ভারত নামক এই মানব চিড়িয়াখানায় গিয়ে ইউটিউবাররা ভারতের সংস্কৃতির সব বিষয়ে তেল মেরে মেরে কথা বলে ভিডিও বানিয়ে লাখ লাখ ভিউ পেয়ে, অর্থ কামিয়ে নিজ দেশে ফিরে যায়।
বিদেশী ইউটিউবাররা ভারতকে এতো তেল মারে কেন?
ভারত, বাংলাদেশের সংস্কৃতি হলো বিশ্বের সবচেয়ে নিম্নমানের। এসব দেশকে নিয়ে গর্ব করার মতো একটি জিনিসও নেই। ভারত সম্পর্কে পশ্চিমা সভ্য সমাজের মানুষের কোনও ইতিবাচক ধারণা নেই। ইন্ডিয়ানদের বিষয়ে কথা তুললেই হেসে ফেলে। ভারত কোনও সিরিয়াস দেশ নয়। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ভারত থেকে আলাদা হয়ে যাওয়াকে আমি সমর্থন করি, কারণ এসব দেশের আর কিছু না থাকলেও তাদেরকে ভারতীয় পরিচয় দিতে হয় না! সম্প্রতি ভারতের ইমেজ আরও নষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন রাস্তার ধারের নোংরা খাবারের ভিডিও, রাস্তায় হাগার ভিডিও সহ অনেক কিছু সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে সভ্য সমাজের দেশে ভাইরাল হওয়া শুরু করেছে। ডিসকভারি চ্যানেল, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল নামক এসব টিভি চ্যানেলগুলো এককালে ভারতকে যে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছিল, সোশ্যাল মিডিয়া তার হোগা মেরেছে। বর্তমানের এই ইউটিউবের যুগে সাদা চামড়ার ইউটিউবাররা ভারতে গিয়ে সেখানে ভারতকে তেল মেরে মেরে ভিডিও বানায়। ভারত সম্পর্কে কোনও খারাপ কথা বলে না। আর তাদের বানানো ভিডিও কিন্তু পশ্চিমা সভ্য সমাজের লোকেরা দেখেনা, বরং দেখে ভারতের চোদু জনতা। সাদা চামড়ার লোকেরা ভারতকে তেল মারলে ভারতীয় চোদনারা খুব খুশি হয়। আর এভাবে এসব ইউটিউবাররা কোটি কোটি ভিউ পেয়ে অর্থ কামিয়ে নেয়। ব্রিটিশ ইউটিউবার বেনজামিন রিচ, যে তার চ্যানেলের নাম অনুযায়ী 'বাল্ড এন্ড ব্যাংকরাপ্ট' অর্থাৎ টাক এবং দেউলিয়া নামে পরিচিত । এই ব্যাক্তি ইংল্যান্ড থেকে দেউলিয়া হয়ে একটি ক্যামেরা এবং পাচশো ডলার নিয়ে ভারতে এসেছিল ভিডিও বানাতে। কারণ সে জানতো যে ভারতে সাদা চামড়ার খুব দাম। ভারতকে তেল মেরে কয়েকটি ভিডিও বানাতে পারলেই সে তার আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন করতে পারবে। তবে লোকটি বেশি সৎ হওয়ায় ভারতকে বেশি তেল মারতে পারেনি, উল্টো ভারতের খারাপ চিত্র তুলে ধরেছে। ফলে তার ভিডিওগুলো পশ্চিমা সভ্য সমাজে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে এবং কিছু অর্থ কামানোর পর ভারতের মাটিতে মুতে দিয়ে ভারত থেকে বের হয়ে যান। তবে পকেটে টান পড়লে আবারও ফিরে আসতে পারেন।