এই ব্যক্তি কি আসলেই দরবেশ, নাকি এর সবকিছুই নাটক?

এই ব্যক্তি কি আসলেই দরবেশ, নাকি এর সবকিছুই নাটক?
ছবি: দাড়িবিহীন অবস্থায় সালমান এফ রহমান ওরফে 'দ্যা দরবেশ'

সেনাবাহিনী এবং দেশীয় মিডিয়া আওয়ামীলীগের এসব নেতাহাতা এবং তাদের চ্যালা চামুন্ডাদেরকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে অনেক নাটক করছে। অনেক দুইমুখী তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে। দুদিন আগে দেখলাম সালমান এফ রহমান ওরফে দরবেশকে দাড়িবিহীন অবস্থায় সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছবিটিতে দরবেশের দাড়ি ক্লিন শেভ করা। নৌকায় তাদের মাত্র কয়েকটি ছবি মিডিয়ার সামনে এসেছে। শোনা যাচ্ছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদের ছবি তুলতেই দিচ্ছে না। পরবর্তীতে কোর্টে নিয়ে যাওয়ার সময় দরবেশের মাথায় হেলমেট থাকার কারণে তার চেহারা ভালোভাবে দেখা যাচ্ছিলো না। তবে তার মুখে প্রায় এক সেন্টিমিটার উচ্চতার দাড়ি ছিল। মাত্র একদিনেই দরবেশের দাড়ি এক সেন্টিমিটার গজিয়ে গেল? দরবেশ মনে হয় তাহলে অন্য গ্রহের লোক। দরবেশকে গ্রেপ্তারের খবর যখন 'দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড' এর খবরের আর্টিকলে দেখলাম তখন সেখানে নৌকায় আনিসুল এবং দাড়িবিহীন দরবেশের হাতবাঁধা ছবি দেখা গেল। কিন্তু পরবর্তীতে যখন সেই একই আর্টিকেলে পুনরায় ঢুকলাম তখন সেই ছবি গায়েব। এর মানে এই দেশের প্রত্যেকটি মিডিয়া টাইটের সাথে কেউ কনট্রোল করছে। এছাড়াও দেশীয় মিডিয়া একবার বলছে আওয়ামী চ্যালা চামুন্ডাদের অনেকে পালিয়ে গিয়েছে বিদেশে আবার বলছে দেশেই লুকিয়ে আছে। একবার বলছে পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি উচ্চতার ডিবি হারুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আবার বলছে এখনও পালিয়ে আছে।

তাহলে চোদু জনতা সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেনা কেন?

আমরা আমাদের পূর্বের অনেক প্রতিবেদনেই বলেছি যে বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশীয় চোদু জনতা তাদের চাটুকারী স্বভাবের জন্য আজও পিছিয়ে আছে। সেনাবাহিনী কিংবা পুলিশের মতো পোশাকধারী বাহিনীকে এরা প্রশ্নবিদ্ধ করা তো দূরের কথা বরং এরা তাদের সাথে ওঠাবসা করার জন্য উদগ্রীব। দক্ষিণ এশীয় চোদু জনতা পোশাকধারী বাহিনীর লোকেদের চ্যালা চামুন্ডা হতে চায়। সেনাবাহিনীর পোশাক পরা লোকেদের দেখলে এদের যৌন উত্তেজনা বেড়ে যায়।

আমার নিজস্ব থিওরি

আওয়ামী নেতাহাতাদের সাথে সেনাবাহিনীর অর্থ লেনদেন চলছে। প্রত্যেক মন্ত্রী যদি সেনাবাহিনীকে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য পঞ্চাশ মিলিয়ন ডলার দেয়, তাহলে সেনাপ্রধান ওয়াকারের পকেটে ঢুকে পড়লো পাঁচশো মিলিয়নেরও বেশি। তারপর হারুনের মতো আওয়ামী চ্যালা চামুন্ডারা যদি দেয় বিশ মিলিয়ন, তাহলে ওয়াকারের পকেটে ঢুকে পড়বে আরও পাঁচশো মিলিয়ন। আমার এই থিওরি সত্য হতেও পারে, নাও পারে।  তবে এতো অর্থ বাগিয়ে নেওয়ার এই সুবর্ণ সুযোগ ওয়াকারের জীবনে দ্বিতীয়বার আসবে না। ওয়াকার সাহেব যদি এই সুযোগে অর্থ বাগিয়ে না থাকে, তাহলে আমি অবাক হব।