বাংলাদেশের জনসংখ্যা কি আসলেই এতো বেশি, নাকি এর পেছনে রয়েছে সরকারের ষড়যন্ত্র ?
বাংলাদেশের লেটেস্ট আদমশুমারী অনুযায়ী এদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি(হলুদ মিডিয়া থেকে পাওয়া) । বাংলাদেশের আয়তনের সাথে এই নাম্বার ভাগ মারলে দেখা যায় যে বাংলাদেশে প্রতিটি মানুষের মাটিতে দাড়ানোর জন্য জায়গা রয়েছে ৮১৯.৮ বর্গ মিটার, যা একটি বাড়ির আয়তনের সমান। বাস্তবে এই আয়তন আরও কম হবে যদি নদী, নালা, পুকুর, বন, জঙ্গল, পাহাড় সহ বসবাসের অযোগ্য স্থানগুলো বাদ দেওয়া হয়। আর বাংলাদেশের চাষাবাদের জমিগুলোর আয়তনও যদি বাদ দেওয়া হয় তাহলে বাংলাদেশে পা রাখার যায়গাও থাকবে না। কারণ বাংলাদেশের আয়তনের ৭৭.৩৫ শতাংশ জমি চাষাবাদের জন্য ব্যাবহার করা হয়। বাংলাদেশের এই সরকারী আদমশুমারি বাংলাদেশের যে জনসংখ্যা দেখিয়েছে সেটি অনুযায়ী বাংলাদেশের আয়তন পৃথিবীর চেয়েও বড় হওয়া উচিৎ। এই আদমশুমারির ফলাফল হাস্যকর হলেও বাংলার চোদু জনতা ইহাকে বিশ্বাস করে থাকে, কারণ বাংলাদেশের রাস্তাঘাট, ট্রেনে-বাসে ভিড় থাকে। প্রথমত, বাংলাদেশের রাস্তাঘাটগুলো সরু এবং ট্রাফিক আইনের লেশমাত্র না থাকার কারণসহ সংস্কৃতি খারাপ হওয়ার কারণেও এই ভিড় দেখা যায়। দেশের চোদু জনতার গাড়ি না থাকার কারণে এবং বাস ট্রেনের অভাব থাকার কারণেও এসব যানবাহনে চোদু জনতার ভিড় দেখা যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, এই সমস্যা কম জনসংখ্যার দেশ জাপানেও কিছু স্থানে হয়। ট্রেনের দারজা দিয়ে জাপানী যাত্রিদেরকে ঠেলে ঠেলে ঢোকানোর ভিডিও নিশ্চই দেখেছেন। অর্থাৎ, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে যে ভিড় দেখা যায়, এগুলো সিস্টেমের দোষের কারণেই এমন ভিড় হয়। তামাম বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সরকার যেভাবে ঢাকা শহরে কেন্দ্রিভূত করেছে এটিও একটি বড় কারণ। ব্যর্থ রাষ্ট্র বাংলাদেশের সরকার দেশের জনসংখ্যার এই ভুয়া নাম্বার দেখিয়ে চোদু জনতাকে বোঝাতে চাচ্ছে যে, বাংলাদেশের অবস্থা এমন হওয়ার পেছনে আমরা দায়ী নই বরং তোমরা দায়ী। আর চোদু জনতার টাকা মেরে খেয়ে বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে।
তাহলে বাংলাদেশের আসল জনসংখ্যা কত?
প্রথমেই বলে রাখি, এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা এটি বোঝানোর ট্রাই করছিনা যে বাংলার চোদু জনতার কোনও সমস্যা নেই। দক্ষিণ এশীয় বিষাক্ত চাটুকারি কালচারের জন্যই বাংলার চোদু জনতা চোর নেতাদের পিঠে তেল মালিশ করে ক্ষমতায় রেখে দিয়েছে। আগে বিম্পি সরকারের নেতাদের পিঠে তেল মালিশ করেছিল, এখন বাল সরকারের নেতাদের পিঠে তেল মালিশ করছে। তবে, আমার দেখা মতে বাংলাদেশের মানুষ চোদাচুদি করে বাচ্চা দেওয়া কমিয়ে দিয়েছে। সত্তরের দশক কিংবা তাহার পরে জন্মগ্রহণ করা ব্যাক্তিদের মধ্যে আমি একজনকেও চিনিনা যার সর্বোচ্চ দুটির বেশি সন্তান আছে। আর তাদের নব্বই শতাংশেরই মাত্র একটি সন্তান আছে। তাছাড়া দেশের মানুষ চিকিৎসার অভাবে হাসপাতালের বারান্দায় শুয়ে শুয়ে যেভাবে অকালে মারা যাচ্ছে, এসবের ভিত্তিতে আমি মনে করি বাংলাদেশের প্রকৃত জনসংখ্যা ৮-৯ কোটি হতে পারে, যা আঠারো কোটির ধারের কাছে নয়।
কম IQ এর লোকেদের জন্য এই প্রতিবেদনের সারাংশ:
দশজনের মধ্যে ২০ টাকা সমানভাবে ভাগ করে দিলে প্রত্যেকে পাবে ২ টাকা। কিন্তু দশজনের মধ্যে কেউ যদি এই বিষয়ে অবহিত না থাকে যে সেখানে তারা দশজন উপস্থিত আছে এবং তাদেরকে যদি বলা হয় এখানে ২০ জন আছে এবং প্রত্যেকে পাবে ১ টাকা, তাহলে সবাই সেটি বিশ্বাস করে নেবে। ঠিক তেমনই বাংলাদেশের সরকার চোদু জনতাকে আদমশুমারির সাহায্যে দেশের জনসংখ্যাকে দ্বিগুণেরও বেশি দেখিয়ে টাকা মেরে খেয়ে বিদেশে পাচার করে দেয় এবং চোদু জনতার প্রাপ্য জীবনযাত্রার মানের অর্ধেকেরও কম মিলছে।