হাসপাতালের বারান্দায় শুয়ে থাকা রোগীরা বেগম জিয়ার লেভেলের নয়: ফখরুল
বাংলাদেশ একটি বিচিত্র দেশ। যেদেশের লোকেরা হাসপাতালে বেডের অভাবে বারান্দায় শুয়ে থাকে আর সেদেশের চোদু জনতা পাছা উঁচিয়ে মডেল মসজিদে সালাত আদায় করে। অন্যদিকে হিন্দুধর্মাম্বীরা মাটির পাত্রে ধুপ নিয়ে দেহ বের করে, জিহবা বের করা মূর্তির সামনে ড্যান্স মারে। সংখ্যালঘুদের দেখে সংখ্যাগরিষ্ঠ চোদু জনতা যে ভালো কিছু শিখবে সেটারও উপায় নেই, কারণ তারা উভয়ই চোদু জনতা।
বাংলাদেশের সরকারী হাসপাতালে অসহায় মানুষ জায়গার অভাবে মাটিতে শুয়ে থাকে। হাসপাতালের বেড পেতে হলে দালালকে দিতে হয় টাকা, দিতে না পারলে তাদেরকে শুয়ে থাকতে হয় হাসপাতালের বারান্দায়। দেখে মনে হয় দেশে যুদ্ধ লেগেছে এজন্য অতিরিক্ত রোগীর চাপে এরা জায়গা পাচ্ছে না। এছাড়াও এসব হাসপাতালে কোনও ডাক্তার থাকেনা, বিভিন্ন ইন্টার্নিদের দিয়ে তারা কাজ চালিয়ে নেয়। এসব ইন্টার্নিরা তাদের "সিনিওরদেরকে" ফোন করে করে রোগীর অবস্থা সম্পর্কে জানিয়ে চিকিৎসা দেয়। এছাড়াও বিভিন্ন অপারেশন নার্সদের দিয়ে করানো হয় আসল ডাক্তারদের স্বাক্ষর নিয়ে আর বাংলার চোদু জনতা মনে করে তারা আসল ডাক্তারদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। এটিই ডিজিটাল বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যাবস্থার বর্তমান অবস্থা। বাল সরকার দেশের মানুষের হাতে সস্তা চাইনিজ মোবাইল ধরিয়ে দিয়েছে তাই দেশ ডিজিটাল হয়ে গিয়েছে, কারণ বাংলার চোদু জনতা এসব ডিজিটাল ড্রাগ পেয়েই হ্যাপি!
বিরোধী দল হিসেবে বিএনপির দায়িত্ব দেশের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার এই দুরবস্থার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা, কিন্তু বিম্পির লোকেরা সেটি না করে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা দাবির জন্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। দেশের অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর কেউ নেই। এ বিষয়ে বিম্পির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রশ্ন করা হলে উনি বলেন, হাসপাতালের বারান্দায় শুয়ে থাকা মানুষদের সাথে বেগম জিয়ার তুলনা করে তাকে অপমান করবেন না। ওসব লোকেরা বেগম জিয়ার লেভেলের নয়। সরকার বেগম জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিলে আমরা এয়ারপোর্টে যাওয়ার পথে ওসব গরিব লোকেদেরকে গাড়ির চাকা দিয়ে পিষে দিতেও দ্বিধাবোধ করব না। আপনারা সবাই জানেন যে বাংলাদেশের অন্যান্য রাজনীতিবিদদের মতো আমাদেরও চেহারা ভালো নয়, এজন্য আমরা অভিনেতা হতে না পেরে রাজনীতিতে জয়েন মেরেছি জনতাকে সাহায্যের নাটক দেখিয়ে টাকা মেরে খাওয়ার জন্য। বাল সরকারের ছ্যাকা খেয়ে আপনারা আমাদের আমলে যে ছ্যাকা খেয়েছিলেন সেটি ভুলে গিয়েছেন বলেই এমন প্রশ্ন করছেন।