দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে একই সয়াবিন তেল দিয়ে চপ ভেজে শেষ পর্যন্ত ভোক্তা অধিকারের খপ্পড়ে বৃদ্ধ দোকানদার !
আজকাল বাংলাদেশের তথাকথিত নিউজ চ্যানেলগুলোতে একটা নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর নামক একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের লোকেরা বিভিন্ন দোকানে, রেস্টুরেন্টে গিয়ে গিয়ে তাদের খাদ্যবস্তুর মান যাচাই এবং জরিমানা করে থাকে। আর তার পেছন পেছন সাংবাদিকরা ক্যামেরা নিয়ে ঘোরে চোদু জনতাকে দেখানোর জন্য। আসলে বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবীদের ঠিকমতো ডিউটি পালন করতে দেখা এতই বিরল ঘটনা যে ওরা ওদের কাজ ঠিকমতো করলে হলুদ মিডিয়ার সাংবাদিকরা তাদের পাছার সাথে জোকের মতো লেগে থাকে। তাদেরকে হিরো বানিয়ে দেয় ভিডিও পাবলিশ মেরে মেরে। ইউটিউবে "ভোক্তা অধিকার" লিখে সার্চ মারলেই ফর্সা চেহারার এক ভোক্তা অধিকার কর্মীর প্রতিদিনের ডিউটি পালনের ভিডিও দেখা যায়। ভোক্তা অধিকারের মনে হয় একমাত্র এই ব্যক্তিই তার ডিউটি ঠিকমতো পালন করে আর বাকিরা ঘুষখোর, সেজন্য ওগুলো ক্যামেরার সামনে দেখানো যাবে না! কারণ ওগুলো প্রোপাগান্ডার জন্য ভালো নয়। বাংলাদেশের নিউজ চ্যানেলগুলো আসলে আজকাল শুধু এসব বালের সার্কাসই দেখায়, আর গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো এড়িয়ে যায়। খবরকে হারামজাদারা বিনোদনমাধ্যম বানিয়ে ফেলেছে। আমাদের বাপ-দাদার আমলের লোকেরা রাতে ত্রিশ মিনিট খবর দেখে শুয়ে পড়তো। কিন্তু আজকালকার দেশের ইয়ং জেনারেশনের চোদনারা সারাদিন খবর দেখে সময় অতিবাহিত করে এবং তাদের ব্যক্তিত্বকেও এসব বালের খবর প্রভাবিত করে। বাংলাদেশের প্রত্যেক ইয়ং জেনারেশনের চোদনাদের কথা বলার ধরণ, পলিটিকাল ভিউ সব একই। কোনও বৈচিত্র আজকাল লক্ষ্য করা যায়না।
তো যায় হোক এবার আসল খবরে আসি। সম্প্রতি রাজধানীর পুরান ঢাকায় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর এক বৃদ্ধ চপ বিক্রেতার সন্ধান পেয়েছে যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোর সময় থেকে কিংবা তাহারও আগে থেকে একই সয়াবিন তেল দিয়ে চপ ভেজে আসছে। শোনা যায় স্বয়ং হিটলার উনার বানানো চপ খেয়ে আমাশয়ে আক্রান্ত হয়ে আর্ট স্কুলের ভর্তি পরীক্ষায় ফেল মেরেছিলো। এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকারের সেই ফর্সা কর্মী বলেন, উনার এই চপের দোকান পৃথিবীর অনেক ক্ষতি করে দিয়েছে, এবার আমরা এই তেলগুলো চুষে নিয়ে মিউজিয়ামে রেখে আসবো।