বাংলাদেশের ভুয়া শিক্ষা ব্যাবস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (যা বুয়েট নামেই বেশি পরিচিত) এর কিছু যুবা বয়সের ছাত্রদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তাদেরকে কোনোভাবে ফাসিয়ে দিয়ে তাদের বাবা মায়ের কাছ থেকে টাকা তোলার জন্য। প্রত্যেকের বাপ যদি তার সন্তানকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য বিশ হাজার টাকা দেয় তাহলে পকেটে ঢুকে পড়লো ছয় লক্ষ আশি হাজার টাকা। বাংলাদেশে এসব ঘটনা হরহামেশা ঘটে থাকে। তবে ছাত্রগুলো যেহেতু বুয়েটের, এজন্য মিডিয়া তাদেরকে স্পেশাল ট্রিটমেন্ট দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে পুলিশ। এর আগেও আবরার ফাহাদ নামক এক বুয়েট ছাত্রকে অন্য দশটি ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের মতো হত্যা হওয়ার পর ফকিরের দেশের মিডিয়া তাকে স্পেশাল ট্রিটমেন্ট দেয় এবং অন্য দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হত্যা, খুন, গুম ইত্যাদির ঘটনা না দেখিয়ে পরিমনির হাতে মেহেদির খবর দেখায়।

বাংলাদেশ পুলিশকে দৈনিক বঙ্গবল্টুর প্রতিনিধি ৩৪ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতারের কারণ জিজ্ঞেস করলে পুলিশ সুপার বলেন, আমেরিকায় পুলিশের বেতন ঘন্টায় চল্লিশ ডলার, আর আমাদের চোদু জনতার দেশে পুলিশের বেতন মাসে পনেরো হাজার টাকা। বাড়ি ভাড়া দেওয়ার পরেই পকেট হয়ে যায় খালি, এজন্যই আমরা কোটি কোটি টাকা ঘুষ খেয়ে জিবিকা নির্বাহ করি। ভেবেছিলাম ছেলেগুলোকে মাদকের মামলায় ফাসিয়ে দিয়ে কিছু অর্থ বাগিয়ে নেবো। কিন্তু সীমান্তে জব্দ করা ভারতীয় সারাভ খাওয়ার পর মাথা ঠিক না থাকায় তাদেরকে অবিশ্বাসযোগ্য সন্ত্রাস, নাশকতার মামলা দিয়ে ফেলেছি, আর পরে দেখি এরা বুয়েটের ছাত্র এজন্য মিডিয়া তাদেরকে স্পেশাল ট্রিটমেন্ট দিচ্ছে। আর এভাবেই আমরা সাময়িক সময়ের জন্য গ্যাড়াকলে পড়ে গিয়েছি। তবে চিন্তা করবেন না, দেশে অন্য কোনো ঘটনার খবর মিডিয়া ভাইরাল করলেই বাংলার চোদু জনতা এই খবরের কথা ভুলে যাবে।