বিদেশীদের জিহ্বায় আরাম দেওয়ার জন্য নিজের নামের উচ্চারণ পরিবর্তন । ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম একটি চাটুকারি ট্রেডিশন।
বাংলাদেশে সবাই ইংরেজীতে করিমকে "কারিম", বঙ্গবন্ধুকে "বাংগাবানধু", পাদ্মাকে "প্যাডমা", লক্ষীপুরকে "লাকশমিপুর", রসগোল্লাকে "রাসগুল্লা" ইত্যাদি লিখে থাকে। অন্যদিকে ভারতে রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরকে "রাবিন্ড্রান্যাথ ট্যাগোর", পাঞ্জাব কে "পুঞ্জাব" ইংরেজি বানানে লিখে থাকে। অনেকে বলে সংস্কৃত ভাষায় নাকি এককালে এভাবে এসব শব্দগুলো উচ্চারণ হতো এজন্য দেশী যেকোনো শব্দ এবং নাম এভাবে ইংরেজিতে লেখা হয় এমন একটি হাস্যকর যৌক্তিকতা দেখানোর চেষ্টা করে। তবে এর মূল কারণ হচ্ছে দক্ষিণ এশীয় লোকেরা এভাবে দেশী শব্দ এবং নিজের নাম ইংরেজিতে উচ্চারণ পরিবর্তন করে লেখাকে কুলনেস মনে করে। রেদোয়ান নামের এক ছোকরাকে দেখেছিলাম সে নিজেকে "রেড ওয়ান" বলে পরিচয় দেয় বিদেশীদের কাছে। ছোকরাটিকে রেদোয়ান বললে ক্ষেপে যায়। অন্যদিকে টুইটারে এক পাকিস্তানি পলিটিশিয়ান নারীকে দেখেছিলাম তার লাস্ট নেম ইংরেজিতে লিখে রেখেছে "Butt" ।
পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার লোকজন তাদের শহর বা মানুষের নাম ইংরেজিতে যেভাবে লিখে থাকে প্রায় সেভাবেই তাদের ভাষায় সেগুলো উচ্চারিত হয়। রাশিয়ান, স্প্যানিশ, ফারসি নাম ইংরেজিতে যেভাবে লেখা হয় উচ্চারণও সেভাবেই হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে ইংরেজিতে নামের উচ্চারণ পরিবর্তন করার এই ট্রেডিশন শুরু হয়েছে ব্রিটিশ আমলে, ব্রিটিশরা যেন সহজেই যেকোনো দেশী নাম উচ্চারণ করতে পারে । কিন্তু এই চাটুকারি ট্রেডিশন এসব দেশে আজও চলমান আছে কারণ সেখানকার চোদু জনতা এভাবে ইংরেজিতে নাম উচ্চারণ করাকে কুলনেস মনে করে। রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরকে "রাবিন্ড্রান্যাথ ট্যাগোর" বললে দুই সেকেন্ডের জন্য বিদেশী vibe পাওয়া যায়, এজন্যই দক্ষিণ এশীয় চোদু জনতা তাদের নাম ইংলিশে এভাবে লেখে।