যে কারণে বাংলাদেশে হিন্দু ধর্ম নিষিদ্ধ করা খুবই জরুরি।
সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ধরণের ছ্যাচড়ামি দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা এবং ইয়ং জেনারেশনের চোদনারা হিন্দুদের সাথে হাত ধরে রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে মিছিল করছে। ওরা হিন্দু-মুসলিম সাদা পাঞ্জাবি পরে একে ওপরের হাত ধরে নির্বিকার চিত্তে রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে থেকে ভোদার ভ্রাতৃত্ব প্রকাশ করছে। বলা বাহুল্য যে, সে আমলের রগকাটা জামাতীরাও এখন বিদেশিদের কাছে নিজেদের বিশুদ্ধ প্রমান করার জন্য ইসলামের নিয়মকে উপেক্ষা করে হিন্দু মালাউনদের সাথে কুশল বিনিময় করছে। আওয়ামী বেশ্যা শেখ হাসিনার পতনের পর যে দেশে মৌলবাদের উত্থানের পরিবর্তে যে এভাবে ছ্যাচড়ামি বৃদ্ধি পাবে সেটা আগে ভাবিনি। ভেবেছিলাম আময়ামীলীগ পতনের পর দেশের রাস্তায় রাস্তায় হুজুরেরা কাঁধে রকেটলঞ্চার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। ইসলামিক মৌলবাদ রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য কোনও সঠিক পদ্ধতি না হলেও দক্ষিণ এশীয় দেশে "দুর্নীতি" নামক চুরি-চামারি কিছুটা কমাতে পারতো। দেশে চুরি চামারির ব্যাখ্যা দিতে "দুর্নীতির" মতো রাজকীয় শব্দ ব্যবহার করাও বাল একটি অনৈতিক কাজ। এসব শব্দ তৈরী হয়েছে যেন উঁচু শ্রেণীর চোরেরা অপমানিত না হয়। বাংলাদেশের মতো নোংরা অনৈতিক দেশে ইসলামিক মৌলবাদ যদি এক শতাংশও চুরি-চামারি কমাতে পারতো তাহলে দেশের জনগণের কাছে বাংলাদেশ স্বর্গ মনে হতো। কিন্তু মালাউনদের সাথে সক্ষতার জন্য তথাকথিত মৌলবাদী ইসলামিক দলগুলোও আজ মৌলবাদ পরিহার করছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী না, কিন্তু দেশে নোংরা মালাউনদের হিন্দু ধর্মের পতন ঘটানোর জন্য ইসলামকে একটি টুলস হিসেবে ব্যবহার করতে আগ্রহী। যদিও সে টুলস কাজ করবে কিনা জানিনা, কারণ দক্ষিণ এশীয় মুসলমানরাও আসলে মালাউন, এরা শুধু মাল্লুদের ধর্মের ওপরে ইসলামের প্রলেপ মেরেছে। দক্ষিণ এশীয় মুসলমান সমাজে মদ্ধপ্রাচ্যের মুসলমানদের মতো তেমন নৈতিকতা দেখা যায়না। মালাউনদের মতো দক্ষিণ এশীয় মুসলমানেরাও সরকারি অফিসে টেবিলের তলা দিয়ে ঘুষের পয়সা নিতে লজ্জা পায়না, বরং গর্ববোধ করে।
হিন্দু ধর্মে নৈতিকতার দুর্ভিক্ষ
ইসলাম, খ্রীষ্টান, বৈদ্ধ এবং অন্যান্য যেকোনো মেইনস্ট্রিম ধর্ম সর্বদা নৈতিকতাকে ধর্মের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে। কিন্তু হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যেসব জিনিস পূজা করে তাতে কোনও নৈতিকতা দেখা যায়না। উপরের ছবিতে দেখুন তাদের দেবতার কি কুৎসিত এবং ভয়ানক চেহারা। আর গলায় ঝুলিয়ে রেখেছে মানুষের মুন্ডু। ইসলাম ধর্মে ক্রিমিনালদের শিরোচ্ছেদ করার প্রথা কিছু দেশে আছে কিন্তু মুসলমানরা এই প্রথাকে এভাবে ধর্মের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেনা। বলা বাহুল্য যে, মুসলমানরা তাদের অনেক খারাপ প্রথা থেকে সফলভাবে সরে এসেছে এবং খ্রীষ্টান সভ্য সমাজের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছে যেটা মালাউনরা পারেনি। মালাউনদের সাথে তাদের সৃষ্টিকর্তার রিলেশনশিপ সম্পূর্ণ ট্রান্সাকশনাল। ওরা তাদের দেবতার মূর্তির সামনে মিঠাই, মন্ডা রেখে জীবনের বাসনা পূরণের জন্য প্রার্থনা করে। এটা মূলত ভগবানকে ঘুষ দেওয়া। আর এই ঘুষের কালচার সরকারি অফিসেও আমদানি হয়েছে। দেশের এই ঘুষ সমস্যার জন্য আসলে ঘুষ গ্রহণকারীর চেয়ে ঘুষ দাতারাই বেশি দায়ী। দক্ষিণ এশীয় পুরুষদের এমন পুরুষত্ব নেই যে গ্রাহকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ঘুষ নেবে। ঘুষ দাতারাই ঘুষকে দেশে স্ট্যান্ডার্ড বানিয়েছে।
মালাউনদের ধর্মে সতীদাহ প্রথা এবং জাত-পাতের বিভাজনের মতো নিকৃষ্ট জিনিস সম্পর্কে সবাই জানে। কিন্তু হিন্দুদের শিশু বলি দেওয়া নিয়ে কাওকে কথা বলতে দেখা যায়না। গুগলে 'চাইল্ড স্যাক্রিফাইস' ইংলিশে লিখে সার্চ মারলেই এ বিষয়ে ভারতের নতুন নতুন খবর দেখা যায়, এসব জিনিস ওদের দেশে আজও দৈনন্দিক ঘটনার মতো। এরা তাদের বস্তুতান্ত্রিক চাহিদাপূরণের জন্য নিজের সন্তানকে হত্যা করে সেটা ভগবানকে ঘুষ দিতেও দ্বিধাবোধ করিনা। বলা বাহুল্য যে ভারতের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা অনেক সময় তাদের আপনজনকে সম্পদের ভাগ বসানো থেকে আটকাতে কিংবা অন্যান্য সাংরারিক সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে নিজের আপন মানুষকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করে তাদের লাশের মাংস কেটে কেটে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয় হত্যার প্রমান লোপাটের জন্য। পৃথিবীর অন্য কোনও সমাজে এধরণের ক্রাইম দেখা যায়না, কিন্তু সেটা দেখা যায় এই দক্ষিণ এশীয় সমাজে। নিজের আপন মানুষের সাথে ত্রিশ বছর থেকে এরা তাকেই হত্যা করে লাশ কুচি কুচি করে কেটে ঢেকে রাখতে পারে। পৃথিবীর অন্য সমাজেও হত্যা হওয়ার খবর দেখা যায়, কিন্তু কেউ লাশ এভাবে কুচি কুচি করে কাটে না।
সম্প্রতি এক ভারতীয় মহিলা ইয়েমেনের এক পুরুষকে হত্যা করে তার মাংস কেটে পানির ট্যাংকিতে লুকিয়ে রেখেছিলো। ক্রাইমের প্যাটার্ন দেখেই বোঝা যায় এটা কোনও মালাউনের কাজ। সেই মহিলার ফাঁসি আটকাতে ভিকটিমের ভাইকে ভারতের এক সংস্থা এক মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে চাইলেও ভাই সেটি নেয়নি। বরং বলেছে যে, নিজের ভাইয়ের লাশ নিয়ে আমি ব্যবসা করতে পারবো না। তার মোরাল-কোন্সসিয়াসনেস দেখুন! যদি এটা কোনও মালাউন পুরুষ হতো, তাহলে এক মিলিয়ন ডলার তো দূরে থাকে, 'দাছ-লাখ-রুপিজ' দিলেই সে তার ভাইয়ের হত্যাকারীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করে টাকাটা লুফে নিতো।
আমি আগেও বলেছি আবারও বলছি, বাংলার মুসলমানেরাও মালাউন ধর্মের নৈতিকতার এই দুর্ভিক্ষ থেকে মুক্ত নয়। এদেশের মুসলমানেরা শুধু তাদের লোকাল মালাউন সংস্কৃতির উপরে ইসলামের প্রলেপ মেরেছে। কয়েক বছর আগে নুসরাত নামক এক মহিলা হত্যা হয়েছিল কিংবা আত্মহত্যা করেছিল। সেই ঘটনা নিয়ে তার ভায়েরা আজও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। শোনা যায় তারা চান্দা-ধান্দার বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছে। এছাড়াও "ক্রাইম পেট্রল" নামক একটি ভারতীয় অনুষ্ঠানকে দেশের অনেক হাবাগোবা জনতা টিউটোরিয়াল হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করেছে। ভারতের পেয়ার মুহব্বতের সিনেমা দেখে বাংলাদেশের অনেক যুবকেরা প্রেমে ছ্যাঁকা খেয়ে মেয়েদের মুখে এসিডও মেরেছে এককালে।
তাহলে এসবের সমাধান কি ?
এর সমাধান শিরোনামেই লিখে রেখেছি, সেটা হলো এই ধর্ম বাংলাদেশে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা। কিন্তু এটা অবশ্যই কোনও সহজ কাজ নয়। এর জন্য চীনের উইঘুর প্রদেশের মতো কন্সেন্ট্রেশন ক্যাম্প বানানো যেতে পারে। তবে দেশের হাবাগোবা জনতা হয়তো পারবেনা এসব ক্যাম্প পরিচালনা করতে। এজন্য বিদেশ থেকে লোক আনতে হবে। বলা বাহুল্য যে দেশের সংস্কৃতি ভালোভাবে মেরামতের জন্য দেশের ৯৯ শতাংশ মুসলমানকেও সেই ক্যাম্পে ঢুকিয়ে দেওয়া উচিত। অথবা হিন্দুদেরকে দেশ থেকে খেদিয়েও দেওয়া যেতে পারে। এটা সস্তা কিন্তু ইফেক্টিভ সল্যুশন। কারণ ভারতে হিন্দু শরণার্থীদের জন্য শুনেছি 'এনআরসি' নামক ফ্রি নাগরিকত্বের ব্যবস্থা আছে। কোটি কোটি হিন্দু জনতার ঢল কিভাবে গোবরজল খাওয়া জাতি ভারত হ্যান্ডেল মারতে পারে সেটা দেখার বিষয়।
দেশের অনেক হাবাগোবা মুসলমান জনতা বলবে যে অনেক হিন্দু তো দেশপ্রেমিক, তাহলে কি তাদের ধর্ম বর্জনে বাধ্য করা অনৈতিক নয়? এসব হাবাগোবাদের জন্য আমার উত্তর হলো 'না'। দেশপ্রেম কোনও কন্ডিশনাল জিনিস না। এসব নোংরা ধর্ম বর্জন করে মেজরিটি জনগণকে সম্মান করার মাধ্যমে তাদের দেশপ্রেম প্রমান করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি দক্ষিণ এশিয়া এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতির প্রত্যেকটি জিনিসকে ঘৃনা করি। দেশের হাবাগোবা জনগণের সাথে ওঠাবসা থেকে সর্বদা বিরত থাকি। আমি একজন পয়সাওয়ালা লোক, দেশের হাবাগোবা জনতার সমস্যা আমার সমস্যা নয়। কিন্তু তারপরেও আমি দেশের মানুষের জন্য লেখালেখি করি। প্রতিবন্ধী সন্তানের বাপ্ যেভাবে তার সন্তানকে ফেলে দিতে পারেনা, আমিও এই হাবাগোবা জাতিকে নিয়ে চিন্তা বন্ধ করতে পারিনা। একেই বলে প্রকৃত দেশপ্রেম। এধরণের মোরাল-কোন্সসিয়াসনেস দেশের অন্য দশজন পয়সাওয়ালা লোকেদের মধ্যে দেখা যায়না।